বিপদে পড়ে অথবা কোন অবৈধ উদ্দেশ্য পূরণের জন্য মানুষ যখন কবিরাজ/হুজুর/বৈদ্যের কাছে যায় তখন কবিরাজ/হুজুর/বৈদ্যরা সাধারনত যেসব জিনিস দিয়ে থাকে তা হলঃ
- তাবিজ
- মাদুলি
- মাছের কাটা
- সুই
- ধাতুর কোন ফলা
- নকশা করা আংটি/মাটির পাত্র/অন্য কোন পাত্র
- পানি পড়া
- কোন ধরনের পাউডার ইত্যাদি
রুকইয়াহ করার আগে এসব নষ্ট করা জরুরী। নিজের শরীরেরগুলো তো বটেই এমনকি ঘরেও ভালভাবে খুজে দেখা উচিত কোথাও কোন সন্দেহজনক কিছু আছে কিনা। থাকলে নষ্ট করতে হবে। তবে ঘরের অন্য সবাই যদি তাবিজের ভক্ত হয় এবং তাদের বোঝানো না যায় তাহলে যিনি রুকইয়াহ করবেন তিনি তার শরীর ও তার ঘরের সব তাবিজ নষ্ট করে রুকইয়াহ করতে পারবেন।
তাবিজ নষ্ট করার জন্য যেসব সুরা/আয়াত পড়তে হবে
- সুরা ফাতিহা
- সুরা বাকারার ২৫৫ নং আয়াত তথা আয়াতুল কুরসী
- সুরা আরাফের ১১৭, ১১৮, ১১৯, ১২০, ১২১, ১২২ নং আয়াত
- সুরা ত্বহার ৬৯ নং আয়াত
- সুরা ইউনুসের ৮১, ৮২ নং আয়াত
- সুরা ইখলাস
- সুরা ফালাক
- সুরা নাস
এইগুল পড়ে কোন বোল বা পাতিলে রাখা পানিতে ফুঁ দিতে হবে। এরপর যাদুর জিনিসপত্র সেখানে ডুবাতে হবে।
লক্ষনীয়ঃ
লক্ষনীয়ঃ
১। কবিরাজ/হুজুর/বৈদ্যের দেয়া পানিপড়ায় উপরের সুরা/আয়াতগুলো পড়ে ফু দিলেই নষ্ট হয়ে যাবে ইন শা আল্লাহ।
২। তাবিজ যদি ধাতুর খোলসের ভিতরে থাকে তাহলে ভিতর থেকে সেগুলো বের করতে হবে। বের করার আগে হাতে গ্লাভস পড়ে নিতে হবে, চোখে চশম পড়ে নিতে হবে। বাজারে প্লাস্টিকের পাতলা হ্যান্ড গ্লোভস কিনতে পাওয়া যায়। এরপর স্ক্রু ড্রাইভার, কাটার, প্লায়ার্স ইত্যাদি যা যা লাগে সেগুলো ব্যবহার করে ভিতর থেকে সব কিছু বের করে ফেলতে হবে। বের করার পর এইগুলো পানিতে ডুবাতে হবে। তাবিজ যে সুতা দিয়ে ঝোলানো হয় সেই সুতায় যদি গিট থাকে তাহলে গিট গুলো খুলে ফেলতে হবে। খুলে ফেলা সম্ভব না হলে ব্লেড দিয়ে কেটে ফেলতে হবে। এরপর পানিতে চুবাতে হবে।
৩। তাবিজের খোলসের গায়ে যদি কোন নকশা/লেখা থাকে তাহলে পানিতে ডুবানোর পর সেগুলো রেত বা অন্য কিছু দিয়ে ঘষতে হবে যেন নকশা বোঝা না যায়।
৪। কিছুক্ষন ডুবিয়ে রাখার পর কাগজ, সুতা ইত্যাদি শুকিয়ে আগুনে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। ব্যবহার করা পানিটা দূরে কোন জঙ্গলে ফেলে দিতে হবে যেখানে মানুষ চলাচল করে না। সাগর, নদী বা বড় কোন ড্রেনে (যেখানে পানি প্রবাহিত থাকে) ফেলে দিলেও হবে। একই ভাবে আগুনে পোড়া ছাই মাটিতে পুতে ফেলতে হবে বা দূরে কোথাও ফেলে দিতে হবে।
৫। আগুনে পোড়ানোর বিষয়টা ঘরের বাইরে কোথাও করা উচিত।
৬। দরকার হলে তাবিজ ভেঙে ভিতরের জিনিসপত্র বের করতে হবে।
৭। পুরো প্রক্রিয়া যিনি করবেন তার ক্রমাগত মনে মনে সুরা ফালাক, সুরা নাস তেলাওয়াত করা উচিত।
ইন শা আল্লাহ তাবিজের জাদুক্রিয়া নষ্ট হয়ে যাবে।