অমুসলিম হলে কি রুকইয়াহ করতে পারবে? কিভাবে করবে?

জ্বি, রুকইয়াহ সবাই করতে পারবে। মুসলিম/অমুসলিম কোনো ভেদাভেদ নেই এখানে। মুসলিমরা যেভাবে রুকইয়াহ করে, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান-অন্যরাও সেভাবেই কর...

Search This Blog

Wednesday, September 28, 2022

সিহরের রুকইয়াহ বা যেকোনো জাদু নষ্টের রুকইয়াহ

 

✅কারা করবে?
.
যারা নিজেদের জাদু আক্রান্ত ভাবছেন অথবা কোনো এডমিন বলেছেন করতে।
.
✅কি কি করতে হবে?
.
তিনটি কাজ করতে হবে প্রতিদিনঃ
🔹তেলাওয়াত করা অথবা অডিও শোনা
🔹গোসল করা
🔹পানি খাওয়া
.
✅কি কি তেলাওয়াত করতে হবে?
.
1️⃣সুরা ফাতিহা
2️⃣সুরা বাকারার ১০২, ২৫৫, ২৮৫, ২৮৬ আয়াত।
3️⃣সুরা আরাফ ১১৭ থেকে ১২২ আয়াত।
4️⃣সুরা ইউনুস ৮১, ৮২ আয়াত।
5️⃣সুরা ত্বহা ৬৯ নং আয়াত।
6️⃣সুরা ইখলাস
7️⃣সুরা ফালাক
8️⃣সুরা নাস

বদনজর, জ্বিন, জাদুতে আক্রান্ত কাউকে কি বিয়ে করা যাবে?/বিয়ে করা উচিত হবে?

মাঝে মাঝে এমন উদ্ভট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সামনে আসে যে, চট করে কি জবাব দিব ভেবে পাই না। ফোনে আসলে তো চিন্তা-ভাবনা করার তেমন সুযোগ পাই না। কিন্তু কিছু না কিছু তো বলাই লাগে। তো এই প্রশ্নের উত্তরটা একটু গুছিয়ে লেখার ট্রাই করি।

ভাই/বোন, বিয়ের পাত্র-পাত্রী নির্বাচনে ক্ষেত্রে বংশ, সৌন্দর্য্য, সম্পদ ও দ্বীনদারি দেখতে বলা হয়েছে এবং দ্বীনদারিকে প্রাধান্য দিতে বলা হয়েছে। কুফু মান্য করতে বলা হয়েছে। শারিরিক সুস্থতাও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু অসুস্থতা চিকিৎসার মাধ্যমে দূর করা সম্ভব ইংশা আল্লাহ।
কাজেই আপনি যাকে বিয়ে করতে চাচ্ছেন সে যদি বদনজর, জিন, জাদুতে আক্রান্ত হয় তাহলে শুধু তাকে এই কারণেই রিজেক্ট করে দিবেন না যে, সে তো অসুস্থ।

অমুসলিম হলে কি রুকইয়াহ করতে পারবে? কিভাবে করবে?

জ্বি, রুকইয়াহ সবাই করতে পারবে। মুসলিম/অমুসলিম কোনো ভেদাভেদ নেই এখানে। মুসলিমরা যেভাবে রুকইয়াহ করে, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান-অন্যরাও সেভাবেই করবে। তবে অমুসলিমরা স্বভাবতই কিছু বিষয়ের মুখোমুখি হবে রুকইয়াহ করতে যেয়ে। সেসব নিয়েই আজকের লেখা।

১ম বাধা- বিশ্বাসঃ স্বভাবতই মুসলিমের বিশ্বাস এবং অমুসলিমের বিশ্বাস মিলবে না। বদনজর, জ্বিন, জাদুর পিছনে শয়তানি শক্তি কাজ করে। শয়তানি শক্তির বিরুদ্ধে জয়ী হবার একমাত্র উপায় আল্লাহ তায়ালার সাহায্য চাওয়া। আল্লাহ তায়ালা কে? আল্লাহ তায়লা সেই স্বত্তা যিনি একক। তিনি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারি। তিনি কারও থেকে জন্ম নেন নি, কাউকে জন্ম দেন নি। তার সমতূল্য কেউ নেই।
তিনি শুধু মুসলমানদের নন, বরং সবার প্রভু। তিনি সবাইকে তৈরি করেছেন, সবার রুজির ব্যবস্থা করে থাকেন। সমগ্র সৃষ্টি তারই। এসব কাজে আল্লাহর কোনো সাহায্যকারী নেই। তিনি একক, অদ্বিতীয়। মানুষকে পথ দেখাতে (শয়তানের বিভ্রান্তি থেকে বাঁচাতে) তিনি যুগে যুগে তাঁর প্রতিনিধি নবী-রাসূল পাঠিয়েছেন। সর্বশেষ পাঠিয়েছেন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে। তিনি শুধু মুসলিমদের নবী নন, বরং সব মানুষের নবী। আল্লাহ দিয়েছেন কুরআনুল কারীম। এই কুরআন শুধু মুসলমানদের কিতাব নয়। বরং সবার জন্য। যেকেউ কুরআন থেকে উপকৃত হতে চাইবে, অবশ্যই উপকৃত হবে আল্লাহ চাইলে। যে আল্লাহ তায়ালা সবাইকে বানিয়েছেন তিনি-ই ইবাদত পাবার যোগ্য। সূর্য নয়, চন্দ্র নয়, কোনো পাথর বা কোন মূর্তি নয়। এসবের কোনো ক্ষমতা নেই। এরা না পারবে কোনো উপকার করতে না পারবে কোনো ক্ষতি করতে।
এই কথাগুলো যে যত বেশি দৃড়তার সাথে বিশ্বাস করবে সে রুকইয়াহতে তত ভাল/দ্রুত ফল পাবে ইংশাআল্লাহ।