অমুসলিম হলে কি রুকইয়াহ করতে পারবে? কিভাবে করবে?

জ্বি, রুকইয়াহ সবাই করতে পারবে। মুসলিম/অমুসলিম কোনো ভেদাভেদ নেই এখানে। মুসলিমরা যেভাবে রুকইয়াহ করে, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান-অন্যরাও সেভাবেই কর...

Search This Blog

Thursday, April 11, 2019

রুকইয়াহ কি এবং কেন?

রুকইয়াহ কি?

- এককথায় রুকইয়াহ হল ঝাড়ফুঁক। ঝাড়ফুক দুই ধরনের হতে পারে।

১। শিরকি রুকইয়াহ
২। শরঈ রুকইয়াহ

শিরকি বা কুফরী রুকইয়াহ বলতে সেসমস্ত রুকইয়াহ বা ঝাড়ফুককে বলা হয় যা শরীয়তে অনুমোদিত নয়। যেমনঃ

১। আল্লাহর কাছে সাহায্য না চেয়ে অন্য কারও/কিছুর সাহায্য চাওয়া।
২। জ্বিনের মাধ্যমে কোন কাজ করা
৩। অবৈধ কোন কাজের মাধ্যমে রুকইয়াহ করা। যেমনঃ জ্বিন, তারকা ইত্যাদির উদ্দেশ্যে পশু জবেহ দেয়া, মেয়েদের গায়ে হাত দেয়া ইত্যাদি।



প্রচলিত শরীয়ত বহির্ভূত রুকইয়াহ সম্পর্কে এখানে জানতে পারবেন। এই লেখায় সংক্ষেপে ৩ টি পয়েন্ট উল্লেখ্য করা হল।


শরীয়তে যেভাবে রুকইয়াহ করার অনুমতি দেয়া আছে সেগুলো ছাড়া বাকিগুলো সন্দেহজনক, ক্ষেত্র বিশেষে কুফরী, ক্ষেত্রে বিশেষে শিরকি। উত্তম হল হাদিসে যেভাবে রুকইয়াহ করার কথা বলা আছে সেভাবে রুকইয়াহ করা।

১। কুরআনের আয়াত দ্বারা রুকইয়াহ করা।
২। হাদিসে বর্ণিত দুআ' দ্বারা রুকইয়াহ করা।
৩। রুকইয়াহর গোসল করা
৪। রুকইয়াহর পানি খাওয়া

ইত্যাদি। এসব ব্যাপারে বিস্তারিত পরবর্তীতে পোস্ট দেয়া হবে ইন শা আল্লাহ।

রুকইয়াহ কেন করবেন?

রুকইয়াহ সম্পর্কে ধারনা যাদের নেই তারা বলতেই পারেন, কে যায় অত শত ঝামেলায়, ডাক্তারের কাছ থেকে ওষুধ বা কবিরাজ/বৈদ্য/হুজুরের কাছ থেকে তাবিজ নিয়ে আসলেইতো হল।

বাস্তবতা হল এই ধরনের সমস্যার একমাত্র স্থায়ী সমাধান হল আল্লাহর কাছে নিজেকে সমপর্ণ করা তথা আল্লাহর বিধান অনুযায়ী রুকইয়াহ করা। অন্য যা কিছু করা হোক না কেন প্রথমদিকে কিছুটা ভাল বোধ করলেও কিছুদিন পর আবার আগের মত বরং আগের চেয়ে খারাপ অবস্থা দেখা যায়। অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায় সমস্যা হয়ত খুবই সাধারন ছিল কিন্তু শিরকি, কুফরী পদ্ধতিতে কাজ করে এমন কবিরাজ/হুজুর/বৈদ্যদের কাছে দৌড়াদৌড়ি করে সমস্যা জটিল আকার ধারণা করেছে।

কাজেই রুকইয়াহ সম্পর্কে প্রথমেই জানা থাকলে জান, মাল, সময়ের হেফাজত হত। এবং একটি সুন্নাহর জাগরণ হত। রোগীর কষ্টও কম হত। (আল্লাহই ভাল জানেন। আল্লাহই সর্বোত্তম পরিকল্পনাকারী)

রুকইয়াহ কারা করবেন?

যাদের সমস্যাগুলো রুকইয়াহ রিলেটেড। এখন কথা হল কিভাবে বুঝব যে আমার প্রবলেমগুলো রুকইয়াহ রিলেটেড কিনা? এই প্রশ্নের উত্তর সহজ। আমরা যখন বদনজর, জ্বিন, যাদুর সমস্যায় আক্রান্ত হই তখন এমন সব সমস্যা আমাদের জীবনে দেখা দেয় যার পিছনে দৃশ্যমান কোন কারণ খুজে পাওয়া যায় না।

যেমন, প্রায়ই অসুখ বিসুখ লেগে থাকা। ডাক্তারের কাছে গেলে কোন কারণ খুজে পায় না। টেস্ট করেও কিছুই পাওয়া যায় না। সব ধরনের চেষ্টা করা স্বত্তেও বিয়ে না হওয়া, ব্যবসা-চাকুরীতে ক্রমান্বয়ে অবনতি হতে থাকা ইত্যাদি। এছাড়াও যখন সমস্যা থেকে সুস্থতার নিয়তে যদি আপনি কুরআন বা রুকইয়াহর আয়াতগুলো তেলাওয়াত করেন বা শোনেন তাহলে নানা ধরনের ইফেক্ট পাবেন। যেমন, মাথাব্যথা, ভয় পাওয়া, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা, নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসা ইত্যাদি ইত্যাদি।

তাহলে স্পষ্ট বোঝা যাবে সমস্যা কেবল শারিরিক বা মানসিক নয়, আত্মীকও বটে। রুকইয়াহ করা দরকার। রুকইয়াহ করলে ইন শা আল্লাহ পূর্ণ সুস্থতা লাভ হয়ে যাবে।

আল্লাহ তৌফিক দিন আমাদের। আমীন।