অমুসলিম হলে কি রুকইয়াহ করতে পারবে? কিভাবে করবে?

জ্বি, রুকইয়াহ সবাই করতে পারবে। মুসলিম/অমুসলিম কোনো ভেদাভেদ নেই এখানে। মুসলিমরা যেভাবে রুকইয়াহ করে, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান-অন্যরাও সেভাবেই কর...

Search This Blog

Friday, April 17, 2020

কোয়ান্টামের ফাকি

কোয়ান্টামের সাথে ইসলামের দ্বন্ধটা কোথায় সেটা নিয়ে আগে অনেক ভেবেছি। কলিগরা যখন আমাকে নানান কথা বলতো। আমি পালটা প্রশ্ন করতাম। কোন উত্তর পেতাম না। আমিও তাদের কনভিন্স করতে পারতাম না, তারাও আমাকে পারতো না।
কোয়ান্টার নিয়ে আগে আরও দুইটি লেখা আমার ছিল। সেগুলো নোট আকারে আছে সংরক্ষিত। সেখানে অনেক কথাই এসেছে। আমার বিবেক বিবেচনা আমার কাছে, আপনার বিবেক বিবেচনা আপনার কাছে। আমি কোনও কিছু প্রমান করতে চাচ্ছি না। আমি শুধু বলছি, আপনার ইচ্ছা হলে শুনবেন, না হলে কে জোর করছে?
রুকইয়াহ গ্রুপের সাথে যুক্ত হবার পর নানান জায়গা থেকে ফোন আসে। তেমনি একজন ফোন দিলেন। কথায় কথায় জানলাম তিনি কোয়ান্টামের প্রো মাস্টার্স কোর্স করা। তিনি আমাকে বললেন, প্রো মাস্টার্স কোর্সে শেখায় কিভাবে মনের ভিতরে অন্তর্গুরু বসাতে হয়। যেকোন কিছু দরকার করে অন্তর্গুরুর কাছে চাইতে হয়।

দ্বন্ধ এখানেও। অন্তর্গুরুর কাছে চাইবো কেন? সে কে? কি তার পরিচয়? মুসলিম হিসেবে তো আমাদের চাওয়া উচিত আল্লাহর কাছে, তা সে প্রয়োজন যত ক্ষুদ্রই হোক না কেন!
কোয়ান্টার করে আমার এই রোগ ভাল হয়েছে, আমার এই সমস্যা মিটেছে, আমার মন মেজাজ ঠান্ডা হয়েছে - ইত্যাদি কথাবার্তা কোয়ান্টামের সঠিক হবার দলিল নয়। কুরআন-হাদিসের কষ্টিপাথরে যদি কোয়ান্টাম মেথড এবং এর শেখানো পদ্ধতি গুলো গ্রহনীয় হয় তবেই তা সঠিক। আর তা না হলে সারা দুনিয়ার সব সমস্যা সমাধান হয়ে গেলেও তার বর্জনীয়।
কুফরি কবিরাজি করেও অনেক কিছু ভাল হয়। কিন্তু নিজের ঈমান, আমল শংকায় পড়ে। ভাল করে বোঝা দরকার ঈমান, আমল শংকায় পড়ার চেয়ে মরে যাওয়া ভাল। কারণ মরে গেলে আল্লাহর কাছে প্রতিদান পাবো যদি ঈমান, আমল নিয়ে মরতে পারি। আর দুনিয়াতে ফেরাউন, নমরূদের মত বহুকাল সুস্থ হয় বাচলাম আর ঈমানহীন হয়ে মরলাম তাহলে পরকালের কঠিন ও চিরস্থায়ী আযাব আমার সঙ্গি হবে।
শহীদ আল বোখারীর কুরআনের মর্মবানী টাইপের কথাবার্তায় বিভ্রান্ত হয়ে লাভ নেই। ওস্তাদ টিম হাম্বলের লেকচারে শুনেছিলাম সম্ভবত, যদি কোন যাদুকর কুরআনের কথা জানতে পারে তাহলে সে অবশ্যই কুরআনের অবমাননা করে কুফরি তথা যাদু করবে। শহীদ আল বোখারী আমাদের মধ্যে এই বিষ ঢোকাচ্ছে কিনা সেটা বিবেচনার ভার আপনার উপর ছেড়ে দিলাম।
সবশেষে সুরা আলে ইমরানের ৮৫ নং আয়াতের উদ্ধৃতি দিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ তায়ালা বলেন, (বঙ্গানুবাদ) "যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কস্মিনকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে ক্ষতিগ্রস্থ"।