USN রুকইয়াহ সার্ভিস
রাক্বী আহমাদ রবীন
৪০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন
(এখানে থাপ্রে জ্বিনের দাত ফেলা হয়)
ফোনঃ _____________________
এমন সাইনবোর্ড থেকে থমকে দাঁড়াবেন? অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকবেন?
আমি কিন্তু খুব একটা অবাক হব না। কেন অবাক হব না সেটাও বলি। ইতোমধ্যে কিন্তু এমন ঘটনা ঘটেছে। এতে জ্বিনের দাত পড়েছে কিনা সেটা আমার জানা নেই। পড়তেও পারে, কত অবাক করার বিষয় দুনিয়াতে ঘটে! এটাও ঘটতে পারে। কে জানে!
ভিনগ্রহের কোন প্রাণী এসে রুকইয়াহ করেনি। আমাদেরই কোনো ভাই করেছেন। রুকইয়াহর আয়াত তেলাওয়াত করছেন আর রোগীকে থাপ্রাচ্ছেন। পাশেই রোগীর আত্মীয়-স্বজন সেগুলো হজমও করছেন।
আত্মীয়দের দোষ দেই না। বহু বছর ধরে জ্বিন/যাদুর সমস্যায় ভুগছে পরিবারে আদরের কোনো সদস্য। কত আর সহ্য করা যায়। বাই হুক অর বাই কুক, এর থেকে নিস্তার পেতে হবে। যেখানে যার কথা শুনেন সেখানেই রোগী নিয়ে দৌড় দেন।(কুফুরীতে লিপ্ত ভন্ড কবিরাজ/হুজুররা কিভাবে রোগীর ফায়দা নেয় সেটা লিখতে গেলে আরও অনেক অনেক নিচের রূচিতে নামতে হবে।) কোথাও কোনো ফায়দা হয় না। কিছুদিন হয়ত ভাল থাকে তারপর আরও দ্বিগুন শক্তিতে ফিরে আসে। এরই মধ্যে কেউ যদি বলি সহিহ, শরঈ পদ্ধতিতে অমুকে করে তাহলে তার কাছে যাওয়া বা তাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে আসা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু এরপরই ঘটে আশাভঙ্গের ঘটনা।
এমন ঘটনা কি আমাদের দেশেই ঘটে? অবশ্যই না। আমারা যেসব দেশ নিয়ে দিনের বেলাতেও জেগে জেগে স্বপ্নে দেখি সেসব দেশেও ঘটে। যতদূর জানি মারতে মারতে রোগী মেরে ফেলেছে এমন ঘটনাও আছে। আমাদের দেশে আলহামদুলিল্লাহ এখনো এমন ঘটনা ঘটেছে বলে শুনিনি। কিন্তু যেভাবে আগাচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে ঘটতেও পারে। তাদের দেশের সাথে আমাদের দেশের পার্থক্য হল, সেখানে কোনো ঘটনা ঘটলে রিপোর্ট হয়, তদন্ত হয়, শাস্তির ব্যবস্থা হয়। আমাদের দেশে কি হয় না হয়, সেটা আপনি জানেন। নতুন করে বলার কিছু দেখি না।
আমাদের অভিভাবকদের সচেতন হওয়া জরুরী। ভন্ড কবিরাজ/হুজুর/বৈদ্যরা আপনার আদরের স্ত্রী, মা, বোন, মেয়ের অসহায়ত্বের সুযোগ যেন নিতে না পারে সেদিকে লক্ষ রাখবেন। কোথাও নিয়ে গেলে চোখের আড়াল করবেন না। আর আমি যদি বলি আমি শরঈভাবে রুকইয়াহ করি, একমাত্র আমিই করি, আসেন আসেন- তাহলে আনন্দে গদ গদ হয়ে সুড়সুড় করে চলে আসবেন না। আগে যাচাই করেন। আমি যা বলছি সেটা কি সত্যি বলছি? আমি কি শরীয়তের সীমা লংঘন করি? এরপর সিদ্ধান্ত নিন। আমাদের পরিবারের কারও সাথে কোনো বিরূপ ঘটনা ঘটুক সেটা কেউই চাইনা। কাজেই সতর্কতা জরুরী।
No comments:
Post a Comment