এই কথার জবাব ব্যাখ্যা সাপেক্ষ। এমনিতে প্রেগন্যান্ট অবস্থায় রুকইয়াহ করা নিষেধ নয়। এমন নিষেধাজ্ঞা কেউ জারি করে নি। তবে প্রশ্নটা এমন হতে পারে, প্রেগন্যান্ট অবস্থায় কি আপনি রুকইয়াহ করবেন?
এই প্রশ্নের জবাব দেয়ার চেষ্টা করি। প্রেগন্যান্ট অবস্থায় একজন মেয়ের শারিরিক, মানসিক কি কি পরিবর্তন সাধিত হয়, তার কেমন লাগে সেটা একজন মা ভাল বলতে পারবেন। আর তিনি যদি বদনজর, জিন, জাদুর সমস্যার আক্রান্ত থাকেন তাহলে তা আরও দুর্বিষহ হবার কথা।
এখন এই অবস্থায় যদি রুকইয়াহ করেন তাহলে কি হতে পারে? গা ব্যথা হতে পারে, পেট ব্যথা হতে পারে, মাথা ব্যথা হতে পারে, বমি হতে পারে, জ্বর আসতে পারে। জিনের সমস্যার থাকলে জিন হাজির হতেও পারে, নাও হতে পারে। জিন হাজির না হলে তো কিছু বলার নেই, যদি হাজির হয় তাহলে কি হবে সেটা অগ্রিম বলা সম্ভব না।
মাথায় রাখতে হবে প্রত্যেক মানুষের সহ্য ক্ষমতা সমান না। কেউ সর্দি লাগলেই বিছানায়, আবার কেউ ১০২ ডিগ্রী জ্বর নিয়েও সব কাজ করছে। তেমনি প্রেগন্যান্ট হলেও সবার শারিরিক সক্ষমতা এক রকম না। এখন আপনার সক্ষমতা কেমন সেটা আপনি ভাল বলতে পারবেন। আমি বলতে পারবো না।
আপনি যদি ভয় পান উপরোক্ত সমস্যা হলে আপনি সামলাতে পারবেন না। তাহলে রুকইয়াহ করবেন না। আবার আপনি যদি মানসিকভাবে এমন শক্তিশালি হন যে, রুকইয়াহ করি ইন শা আল্লাহ। যা হবার হবে। আল্লাহ ভরসা। যদি বাবু নষ্টও হয়ে যায় আমি ধৈর্য্য ধরবো ইন শা আল্লাহ। আল্লাহর কাছে পুরষ্কার পাবো। কিন্তু আমার পিছনে যে শয়তান লেগেছে তার শেষ দেখে ছাড়বো।
আবার কারও কারও অনর্থকই বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায়। ডাক্তার কোনো কারণ খুজে পায় না। তো এসব ক্ষেত্রে ম্যাক্সিমাম লস কি? বাচ্চা আবার নষ্ট হয়ে যাবে। রুকইয়াহ করার পরেও যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলেতো সেটা আগেও হত। কাজেই এই সমস্যা থাকলে রুকইয়াহ করাই উচিত।
পাশাপাশি ডাক্তারি হেল্প নিতেও কোনো সমস্যা নেই। প্রেগন্যান্ট অবস্থায় রুকইয়াহ করে সফলতার কথাও আছে, সফল হয়নি এমন কথাও আছে। এখন চেষ্টা করবেন কিনা, এই সিদ্ধান্ত আপনাকেই নিতে হবে। আমাদের কাছে ফায়সালা চাইলে হবে না।
আপনি প্রেগন্যান্ট কিন্তু জামাই দেখতে পারে না। জামাইকে দিয়ে রুকইয়াহ করানো পসিবল না। এখন আমি যদি আপনাকে রুকইয়াহ করতে জোর করি আর আপনি অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে গেলেন বা মাথা ঘুড়ে পড়ে গিয়ে আঘাত পেলেন, বাচ্চা নষ্ট হয়ে গেল। তখন আমাকে দোষ দিবেন। আবার রুকইয়াহ করতে মানা করলাম, তখন জামাইয়ের সাথে সম্পর্ক চরম পর্যায়ের খারাপ হয়ে গেল, তখনও দোষ আমাকেই দিবেন। বলবেন, রুকইয়াহ পরামর্শ চেয়েছিলাম। পাই নি।
কাজেই সিদ্ধান্ত আপনার। আমরা কোনো দায় নিব না। সিদ্ধান্ত নেয়ার পর পরামর্শ দিতে পারি বড়জোর।
যে আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করবে, আল্লাহই তার জন্য যথেষ্ঠ।