গ্রুপে এড হয়ে অনেকে যখন মেম্বারদের পোস্ট দেখেন, কমেন্টগুলো চেক করেন তখন দেখতে পান অমুক বদনজরের রুকইয়াহ করেছে, কেউ ডিটক্স করেছে, কেউ যাদু নষ্টের রুকইয়াহ করেছে। করার সময় তার অনেক ভয় লেগেছে, গায়ে অনেক ব্যথা হয়েছে, মন মেজাজ খারাপ হয়েছে, ভয়ংকর স্বপ্ন দেখেছে, কেউ নিষেধ করেছে রুকইয়াহ করতে অথচ কাউকে দেখা যাচ্ছে না ইত্যাদি ইত্যাদি।
দেখে ভয়ে চুপসে যান, চিন্তিত হয়ে পড়েন। ভাবেন রুকইয়াহ করলে এমন হয়, আমি করলে আমারও হবে। কাজেই রুকইয়াহ করা যাবে না। দোষটা রুকইয়াহর ঘাড়ে এসে পড়ে। একধরনের নেগেটিভ সেন্স তৈরি হয়। অথচ বাস্তবতা মোটেও এমন না।
আপনার হাতে স্যাভলন লাগলো বা লাগালেন। জ্বলবে? যদি হাতে কাটা/আচর থাকে তাহলে জ্বলবে। যদি না থাকে জ্বলবে না। কাটা
জায়গায় স্যাভলন লাগানোর পর জ্বললে সেটা স্যাভলনের দোষ? জ্বুলুনির ভয়ে স্যাভলন লাগানো বাদ দিতে হবে?
গায়ে ফোঁড়া হয়েছে। ডাক্তারের কাছে গেলেন। ডাক্তার গেলে পুজ, রস বের করে ওষুধ দিলেন। ব্যথায় অনেক চিল্লাপাল্লা করলেন, কেঁদে ফেললেন। ডাক্তারের দোষ হবে? ব্যথার ভয়ে ডাক্তারের কাছে যাওয়া কোনো বুদ্ধিমান বন্ধ করে?
যিনি সুস্থ মানুষ তিনি যদি রুকইয়াহ করেন কিছুই হবে না। তার ভাল লাগবে, সাধারন কুরআন তেলাওয়াতের মতই মনে হবে। আর যিনি অসুস্থ তার নানা ধরনের অসুবিধা অনুভব (সাময়িক) হতে পারে। সুস্থ হলে এইগুলো কিছুই থাকবে না।
তো, দোষ কি রুকইয়াহর হল? না। দোষ হলঃ
১। আপনার। আপনি আল্লাহর হুকুম ঠিকমত মানেন না। এই কারণে শয়তান আপনার ক্ষতি করেছে।
২। আপনার অভিভাবকের। আপনাকে দ্বীনের পথে অগ্রসর করে নি।
৩। দোষ আপনার শিক্ষক, ওস্তাদদের। আপনাকে সুরক্ষার আমল শেখায় নি।
৪। দোষ সমাজের। যেখানে দাড়ি শেভ করলে সবাই বাহবা দেয়, আর রাখলে টিটকিরি করে। (জাস্ট এক্সাম্পল)
৫। দোষ হাসাদগ্রস্থ অন্তরের। অন্যের ভাল যারা সহ্য করতে পারে না।
৬। দোষ জিনের। যে ইচ্ছা করে মানুষের পিছনে লাগে।
৭। দোষ যাদুকরের। যে যাদু করেছে। তার সহকারীদের। যাদুকরের কাছে যে গিয়েছে তাদের।
কাজেই রুকইয়াহ নিয়ে ভাবনার কিছু নেই। রুকইয়াহ করে কারও একচুল ক্ষতি হবে না। এটা আল্লাহর কালাম দিয়ে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া। আল্লাহর সাহায্য চাইলে কারও ক্ষতি হতে পারে?
পারে না...