অমুসলিম হলে কি রুকইয়াহ করতে পারবে? কিভাবে করবে?

জ্বি, রুকইয়াহ সবাই করতে পারবে। মুসলিম/অমুসলিম কোনো ভেদাভেদ নেই এখানে। মুসলিমরা যেভাবে রুকইয়াহ করে, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান-অন্যরাও সেভাবেই কর...

Search This Blog

Wednesday, December 30, 2020

রুকইয়াহ ফ্যান্টাসি

রুকইয়াহ নিয়েও মানুষ ফ্যান্টাসিতে ভুগে। বিশ্বাস হয়?

কেমন ফ্যান্টাসি? ধরেন, কেউ একজন তার সমস্যা লিখলো। সেখানে এডাল্ট কিছু বিষয় চলে আসলো। এখন এই পোস্ট দেখে দুই একজন আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে তার কেন এমন হয় না। তাহলে তার *ন চাহিদা পূরণ হয়ে যেত। জিনের সাথে তার দহরম মহরম থাকতো, প্রেম-ভালবাসার সম্পর্ক থাকতো, এই হত, ঐ হত।
আচ্ছা আপনারা কি ক্যান্সারের পেশেন্ট দেখলে নিজের ক্যান্সার হবার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেন? এইডসে আক্রান্ত কারও কথা শুনলেও কি এই আগ্রহ থাকে? শ্বেতী রোগিদের চামড়া সাদা হয়ে যায়। আপনার চামড়া যেন সাদা হয় সেজন্য আপনি শ্বেতী রোগ হবার দুআ' করেন?
অজ্ঞতাই আপনার এই ধরনের আকাঙ্ক্ষার কারণ। আপনি জানেনই না (বিশ্বাস করেন না) বদনজর/জিন/জাদুতে আক্রান্ত হওয়া একটা রোগ। কোন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ কখনই চাইবে না যে, তার এই রোগ হোক, ঐ রোগ হোক। কারণ সুস্থতা কতবড় নেয়ামত সামান্য সর্দি-জ্বর হলেই আমরা বুঝতে পারি।
কয়েক বছর আগে খবরের কাগজে একটা খবর এসেছিল ভারতের। একলোক বহুদিন ধরে "ভূত-প্রেতের" সন্ধানে ছিল। এবং যেখানে যেখানে এই ধরনের খবর পেতে সেখানে যেত, রাত্রি যাপন করতো। পরে হাসি-তামাশা করতো। শেষকালে, এমনই কোথাও রাত্রি যাপণ করতে যেয়ে তার ভূতুড়ে মৃত্যু হয়। (লিংক রাখি না, নাহয় দিতে পারতাম)
আরেকধরনের মানুষ আছেন যারা নিজের প্রবলেমের ব্যাপারে ফ্যান্টাসিতে ভুগেন।
"জানিস, আমার না এই হয়েছে, ঐ হয়েছে। একজন আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছিল, দুই ঘন্টার মধ্যেই তার এই হয়েছে, ঐ হয়েছে। ওয়াও!"
ফ্রেন্ড সার্কেলের মধ্যে নিজেকে আলোচনায় রাখা, নিজেকে জনপ্রিয় করে তোলা। ফেসবুকে পোস্ট করে সেলেব্রেটি হওয়া, লাইক কমেন্ট কামানো। এই লক্ষ্যে এমন সব আজগুবি কথাবার্তা বলা যেটা বাস্তবে ঘটেই নি!
এরা সিরিয়াস টাইপের রোগী বলেই মনে করি। তবে যতদূর দেখেছি এরা নিজেরা রুকইয়াহতে তেমন আগ্রহী হয় না। কিছুদিন করলে, কিছুদিন করে না। কয়েকদিন করলেও সিরিয়াসলি করে না। কারণ করলেই সমস্যা চলে যাবে, তখন আর জনপ্রিয় হওয়া যাবে না। আর শয়তানতো কানের কাছে বলতেই থাকবে,
"তোমার রুকইয়াহ হচ্ছে না। এভাবে তুমি সুস্থ হতে পারবে না। এতদিন তো করলে, কোনো উপকার তো পেলে না।"
এসব থেকে বের হওয়াও কঠিন।
অনেক ফ্যামিলিতে বয়স্করা যখন এটেনশন পান না তখন দেখবেন অযথাই একটা রোগ হয়েছে তার। তখন ট্যাবলেট খাওয়া লাগে। কিন্তু তিনি ট্যাবলেট ঠিকমত খাবেন না। কারণ খেলেই তার ভাল লাগবে, আর ভাল লাগলেই ছেলে-পেলেরা ফোন দিয়ে বা সামনাসামনি কথা বলবে না। মোট কথা সময় দিবে না। এরচে' অসুস্থই থাকি, এটেনশন পাই।

এই ধরনের রোগীদেরও এমন এটেনশন দরকার। তাকে বলে বলে রুকইয়াহ শোনাতে, গোসল করাতে হবে। আয়াতুল, তিনকুল পড়ে ফু দিতে হবে মাঝে মাঝে। তাহলে সে বুঝতে পারবে যে, সামওয়ান ইজ টেকিং মাই কেয়ার। এটাই তার মানসিক ইচ্ছা জাগ্রত করবে। এটা করতে হবে ভালবাসার সাথে, চিল্লা-পাল্লা করে নয়।
পরে সুস্থ হয়ে উঠলে নিজেই বুঝতে পারবে তার এসব ছেলেমানুষির কথা। তখন আর এমন করবে না ইন শা আল্লাহ।
"আল্লাহর পথে হে মুসাফির,
সহজ কোনো রাস্তা নেই।"