অমুসলিম হলে কি রুকইয়াহ করতে পারবে? কিভাবে করবে?

জ্বি, রুকইয়াহ সবাই করতে পারবে। মুসলিম/অমুসলিম কোনো ভেদাভেদ নেই এখানে। মুসলিমরা যেভাবে রুকইয়াহ করে, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান-অন্যরাও সেভাবেই কর...

Search This Blog

Wednesday, December 30, 2020

রুকইয়াহর বিকল্প

রুকইয়াহ তথা ইসলামসম্মত ঝাড়ফুক করে যে সুস্থ হওয়া আল্লাহর রহমতে সম্ভব এটা কয়েকবছর আগেও এদেশে তেমন কেউ জানতো না। বিশ্বাস করতো আরও কম। কিন্তু বর্তমানে এটা কয়েক লক্ষ লোকের কাছে বাস্তবতা।

আচ্ছা যখন রুকইয়াহ ছিল না তখন মানুষ কি করতো? - এই প্রশ্ন যদি করি আপনি বলবেন কবিরাজ, হুজুরদের খপ্পড়ে পড়তো। এর বাইরেও কথা আছে। তখনও সচেতন মানুষ ছিল যারা এসব কুফুরির ধারে কাছেও যেত না এবং তারা সুস্থও হত। কিভাবে হত? চিন্তার বিষয় আছে এখানে।
কিছুদিন আগে এক রাকির কমেন্ট চোখে পড়লো। (নামে আগে রাকি লেখা ছিল তাই বুঝতে পেরেছিলাম। বাস্তবে রাকি না কবিরাজ জানা নেই।) এক রোগীর সমস্যা পড়ে সে যে মন্তব্য করেছিল সেখানে এমন কথা ছিল যে, "আপনার জন্য রুকইয়াহর কোনো বিকল্প নেই।"
বিকল্প নেই আর বিকল্প আমার জানা নেই - এই দুইটা কথার মধ্যে পার্থক্য আছে না? অবশ্যই আছে। একটা নিশ্চিত, আরেকটা নিজের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা প্রকাশ করে। একটাতে মানুষ চিন্তিত হবে, আরেকটা অত চিন্তিত হবে না। একটাতে কবিরাজদের কথার সাথে মিলে যায় আরেকটাতে নিজের বিনয় প্রকাশ পায়।
জানা না থাকলে নিজের সীমাবদ্ধতা প্রকাশ করা উচিত। সেটা না করে ভুল জিনিস প্রকাশ করা বা প্রচার করা মূর্খতা বইকি।
বদনজর, জিন, জাদুর সমস্যা যত প্রকটই হোক না কেন। কেউ যদি রুকইয়াহ না করে বা রুকইয়াহর কথা না জানে সেও সুস্থ হতে পারে। এটা নির্ভর করে আল্লাহর সাথে উক্ত ব্যক্তির সম্পর্কের উপর।
আপনি কি মনে করেন, প্রবল সমস্যাগ্রস্থ কেউ যদি তাহাজ্জুদ পড়ে দুয়া করে, ইবাদতে মন দেয়, প্রচুর দান সদকা করে তাহলে সে বিপদমুক্ত হতে পারবে না? রুকইয়াহ করতেই হবে? এমনতো প্রচুর আছে, যারা রুকইয়াহ করে নি; তাহাজ্জুদ পড়েছে, সালাতুল হাজত পড়েছে, দুয়াতে চোখের পানি ঝড়িয়েছে এবং আল্লাহ তায়ালা নিজ অনুগ্রহে তাদের সাহায্য করেছেন। তারা সুস্থ হয়েছে।
এটা সত্য যে, রুকইয়াহ করে সহজে সুস্থ হয় (সাধারনত)। কারণ এটাই ইসলামের নির্দেশনা। কিন্তু এটাকে "রুকইয়াহ ছাড়া বিকল্প নেই" বলে একেবারে সীলমোহর মেরে দেয়াটা অযৌক্তিক।