জ্বি, রুকইয়াহ সবাই করতে পারবে। মুসলিম/অমুসলিম কোনো ভেদাভেদ নেই এখানে। মুসলিমরা যেভাবে রুকইয়াহ করে, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান-অন্যরাও সেভাবেই করবে। তবে অমুসলিমরা স্বভাবতই কিছু বিষয়ের মুখোমুখি হবে রুকইয়াহ করতে যেয়ে। সেসব নিয়েই আজকের লেখা।
১ম বাধা- বিশ্বাসঃ স্বভাবতই মুসলিমের বিশ্বাস এবং অমুসলিমের বিশ্বাস মিলবে না। বদনজর, জ্বিন, জাদুর পিছনে শয়তানি শক্তি কাজ করে। শয়তানি শক্তির বিরুদ্ধে জয়ী হবার একমাত্র উপায় আল্লাহ তায়ালার সাহায্য চাওয়া। আল্লাহ তায়ালা কে? আল্লাহ তায়লা সেই স্বত্তা যিনি একক। তিনি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারি। তিনি কারও থেকে জন্ম নেন নি, কাউকে জন্ম দেন নি। তার সমতূল্য কেউ নেই। তিনি শুধু মুসলমানদের নন, বরং সবার প্রভু। তিনি সবাইকে তৈরি করেছেন, সবার রুজির ব্যবস্থা করে থাকেন। সমগ্র সৃষ্টি তারই। এসব কাজে আল্লাহর কোনো সাহায্যকারী নেই। তিনি একক, অদ্বিতীয়। মানুষকে পথ দেখাতে (শয়তানের বিভ্রান্তি থেকে বাঁচাতে) তিনি যুগে যুগে তাঁর প্রতিনিধি নবী-রাসূল পাঠিয়েছেন। সর্বশেষ পাঠিয়েছেন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে। তিনি শুধু মুসলিমদের নবী নন, বরং সব মানুষের নবী। আল্লাহ দিয়েছেন কুরআনুল কারীম। এই কুরআন শুধু মুসলমানদের কিতাব নয়। বরং সবার জন্য। যেকেউ কুরআন থেকে উপকৃত হতে চাইবে, অবশ্যই উপকৃত হবে আল্লাহ চাইলে। যে আল্লাহ তায়ালা সবাইকে বানিয়েছেন তিনি-ই ইবাদত পাবার যোগ্য। সূর্য নয়, চন্দ্র নয়, কোনো পাথর বা কোন মূর্তি নয়। এসবের কোনো ক্ষমতা নেই। এরা না পারবে কোনো উপকার করতে না পারবে কোনো ক্ষতি করতে।
এই কথাগুলো যে যত বেশি দৃড়তার সাথে বিশ্বাস করবে সে রুকইয়াহতে তত ভাল/দ্রুত ফল পাবে ইংশাআল্লাহ।