মাঝে মাঝে এমন উদ্ভট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সামনে আসে যে, চট করে কি জবাব দিব ভেবে পাই না। ফোনে আসলে তো চিন্তা-ভাবনা করার তেমন সুযোগ পাই না। কিন্তু কিছু না কিছু তো বলাই লাগে। তো এই প্রশ্নের উত্তরটা একটু গুছিয়ে লেখার ট্রাই করি।
দীর্ঘদিন ধরে বদনজর, জিন, জাদু ইত্যাদিতে আক্রান্ত (বিশেষ করে) বোনেরা ফ্যামিলিতে খুব একটা শান্তিতে নেই। এমন অনেক দেখেছি বাড়ি থেকে পালাতে পারলে বাঁচে। কারণ পারিবারিক অশান্তি। তারা নিজেদের মত থাকতে চাইলেও পারে না, অন্যরা বিরক্ত করে। আপনি যদি এমন কাউকে নিজের করে নিয়ে শান্তির ব্যবস্থা করতে পারেন তাহলে আমি আশা রাখি আপনি আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত হবেন।
কি কি সমস্যা হতে পারে?
- এধরনের রোগীদের প্রায়ই রাগ থাকে খুব। কাজেই তার মেজাজ সহ্য করতে হতে পারে।
- তারা তাদের সঙ্গীকে সহ্য করতে পারে না। এমনিতে ভাল, কিন্তু পাশাপাশি আসলেই ঝগড়া।
- প্রচুর রোগো-শোকে ভুগতে পারে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসা করানো লাগবে। মানে ডাক্তার-মেডিসিন এসব।
- ঘরের অন্যান্যদের সাথে বনিবনা নাও হতে পারে। পারিবারিক অশান্তি হতে পারে। এটা ট্যাকল দিতে হবে।
- যে কারও শারিরিক সম্পর্কে অনীহা, অক্ষমতা দেখা দিতে পারে।
এছাড়াও টুকটাক ইস্যুতো থাকবেই। সুস্থ দুজন মানুষ সংসার করতে গেলেই কত কিছু হয়। তাহলে একজন অসুস্থ হলে বা দুইজনই অসুস্থ হলে আরও বড় কিছু হতে পারে।
তবে প্লাস পয়েন্ট হল আপনার "রুকইয়াহ" সম্পর্কে জানা আছে। বিয়ের পর দুজন মিলে তুমুল রুকইয়াহ করেন। দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবেন ইংশা আল্লাহ। বদনজর, জিন, জাদুতে আক্রান্তরা অসুস্থতা থেকে মুক্তি পেতে বিভিন্ন আমলে অভ্যস্থ হয়, অনেকের তাক্বওয়া, পরহেজগারী ঈর্ষা করার মত হয়। কাজেই বুকে টেনে নিন। ঠকবেন না ইংশা আল্লাহ।
[নোটঃ যেসব বিষয় বলা হয়েছে সেগুলো হল সম্ভবনা, ফিক্সড নয়। এটা মাথায় রাখলে ভাল হবে। এমনও হতে পারে তারা বিয়ে করে নিয়েছে আর বিয়েটা আল্লাহর কাছে পছন্দনীয় হয়েছে, আল্লাহ তাদের মাফ করেছেন। পূর্ণ শিফা দিয়েছেন।]
No comments:
Post a Comment