হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, একবার রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়াসাল্লামের কতিপয় সাহাবী রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলিলেন, কামআত (ব্যাঙের ছাতা) হইল যমীনের বসন্ত। তখন রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (তাহাদের ধারনা পাল্টাইয়া) বলিলেনঃ ব্যাঙের ছাতা তো মান্ন সদৃশ। ইহার পানি চক্ষু রোগের ঔষধবিশেষ। আর আজওয়া (নামীয় খেজুর) বেহেশতী ফল। উহা বিষনাশক। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আমি তিনটি অথবা পাচটি অথবা সাতটি ব্যাঙের ছাটা লইয়া ঊহার রস নিংড়াইয়া একটি শিশির মধ্যে রাখিলাম। অতঃপর আমার এক রাতকানা দাসীর চোখের মধ্যে সেই পানি সুরমার সাথে ব্যবহার করিলাম। ইহাতে এ আরোগ্য লাভ করিল। -তিরমিযি এবং তিনি বলিয়াছে, এই হাদিসটি হাসান।
ব্যাখ্যাঃ মান্ন হইল বনী ইসরাঈলগন শাস্তি ভোগকালে তীহ্ ময়দানে আল্লাহর হুকুমে যে খানা লাগ করিয়াছে তাহারই নাম। হযরত মূসা (আঃ)-এর দো'য়ায় তাহারা এই খানা পাইয়াছিল। ইহা রাত্রে কুয়শার মত অবতীর্ন হইয়া হালুয়ার আকারে বিভিন্ন স্থানে জমিয়া থাকিত, সকালে তাহারা উহা সংগ্রহ করিয়া খাইত। সাদা বর্ণের ব্যাঙের ছাতা খাদ্যবস্তু, কিন্ত কালো বর্ণেরটি অখাদ্য ও বিষাক্ত। মান্ন যেরূপ বিনা আয়াসে ও বিনা খরচে বনী ইসরাঈলের জন্য জুটিয়াছে, ব্যাঙের ছাতাও তদ্রুপ বিনা ব্যায়ে ও বিনা পরিশ্রমে পাওয়া যায়। এই জন্য উভয়ের মধ্যে সাদৃশ্য রহিয়াছে। ইহার রস চক্ষু রোগের জন্য বিশেষ উপকারী এবং ঔষধের কাজ করে।
(গবেষনা হতে পারে)
উৎসঃ মিশকাত। খণ্ড-৮, পৃষ্ঠা-২৭৯। এমদাদিয়া পুস্তিকালয় লিঃ।