অমুসলিম হলে কি রুকইয়াহ করতে পারবে? কিভাবে করবে?

জ্বি, রুকইয়াহ সবাই করতে পারবে। মুসলিম/অমুসলিম কোনো ভেদাভেদ নেই এখানে। মুসলিমরা যেভাবে রুকইয়াহ করে, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান-অন্যরাও সেভাবেই কর...

Search This Blog

Sunday, April 14, 2019

কিছু কবীরা গোনাহের লিস্ট

[এটা আমার লেখা নয়। নাসিসাহ গ্রুপ থেকে নেয়া] 

গুনাহ দুই প্রকার। এক, সগীরা (ছোট গুনাহ) দুই. কবীরা (বড় গুনাহ)। যে গুনাহ সম্পর্কে কুরআন বা হাদীসে শাস্তির বিধান রয়েছে অথবা কঠিনভাবে নিষেধ করা হয়েছে তাকে কবীরা গুনাহ বলে। কোনো কোনো কবিরা গুনাহ অন্য কবিরা গুনাহ থেকে বড়। যেমন কুফরি করা, শিরক করা সবচেয়ে বড় গুনাহ।

নিম্নে কিছু কবিরাগুনাহ কুরআন ও হাদীস থেকে বর্ণনা করা হলো।
ব্যাপক প্রচলিত কয়েকটি কবীরা গুনাহঃ
.
১. আল্লাহ পাকের যে কোনো প্রকারের শিরক করা। অর্থাৎ তাঁর মহান সত্তা ও গুনাবলীর সাথে কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে শরীক করা। [সূরা নিসা:১১৬, কিতাবুল কাবাইর,:১৪]

২. প্রিয় নবী সা.-কে আলিমুল গায়েব বা হাজির নাজির মনে করা। (উল্লেখ্য যে, আলেমুল গায়েব বলা হয়- যিনি পূর্ব অবগতি বা কারো জানানো ব্যতীত নিজে নিজেই প্রকাশ্য গোপনীয়-সবকিছুর খবর জানেন। আর হাজির নাজির ঐ সত্তাকে বলে যার উপস্থিতি বিশেষ কোনো স্থানে সীমাবদ্ধ নয়; বরং একই সময়ে গোটা বিশ্বে সবখানে বিরাজমান এবং একই সাথে বিশ্ব জগতের প্রতিটি বস্তুকে সমানভাবে দেখেন। সহজ কথায, যিনি সর্বদা সবকিছু দেখেন তিনিই হলেন হাজির নাজির।) [সূরা নামল:৬৫, সূরা আনআম:৫০,৫৯, সূরা কাসাস:৪৪, সূরা তওবা:১১৯]

৩. কোনো নবী বা ওলীকে বান্দার প্রয়োজন পূরণকারী বা বিপদ নিরসনকারী মনে করা। [সূরা আরাফ:১৮৮]

৪. আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত অন্য কাউকে সিজদা করা। অনুরূপভাবে কারো কবরে সিজদা করাও কবীরা গুনাহ। [আবু দাউদ:২/১০৫, নাসায়ী১/২২২]

৫. কবর পাকা করা, কবরে ফুল দেয়া বা বিশেষ দিনে বাতি জ্বালানো। [আবু দাউদ:২/১৫০, ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী:১/৬৫]

৬. জনগণকে সকল ক্ষমতার উৎস মনে করা। [সূরা বাকারা:১৬৫]

৭. তাক্বদীরকে অস্বীকার করা বা তাক্বদীরের ফায়সালার প্রতি অসন্তুষ্ট হওয়া। [কিতাবুল যাওয়াজির]

৮. শরীয়তের কোনো বিধানকে অবজ্ঞা করা। (যাওয়াজির)

নীচের কথাগুলো (৯ থেকে ১৫নং পর্যন্ত) কুফুরী কথা যা বলার দ্বারা কেবল কবীরা গুনাহই হয় না, ঈমান চলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। যেমন-৯. কেউ বলল, সে যদি খোদাও হয় তবুও তার কাছ থেকে আমি আমার হক আদায় করে ছাড়ব।

১০. স্বয়ং আল্লাহ তা’আলাই তোর সাথে পারে না, আমি কী করে পারব?

১১. আমার জন্য আসমানে আছেন আল্লাহ, আর জমিনে তুমি অর্থাৎ উপরে আল্লাহ নিচে তুমি।

১২. যদি কেউ অন্যের উপরে জুলুম করে এবং মজলুম ব্যক্তি বলে- হে আল্লাহ! তুমি তার তওবা কবুল করো না। আর যদি তুমি কবুল করেও নাও আমি কিন্তু কবুল করব না।

১৩. যদি কেউ বলে যে, যদি আদম আ. গন্ধম না খেতেন, তাহলে আমরা কেহই দুর্ভাগা হতাম না।

১৪. কেউ যদি বলে, নখ কাটা সুন্নত, এর জবাবে অন্যজন বলল, সুন্নত হলেও আমি তা কাটবা না। অনুরূপভাবে যদি বলে, সুন্নত কী কাজে আসবে অথবা সুন্নত তাতে কী হয়েছে? কিংবা রাখো তোমার সুন্নত- এ জাতীয় কথা বলা।

১৫. একজন অন্যকে বলল, নামায পড়ো। জবাবে সে বলল, এতো নামায পড়ে কি পেয়েছ? বা এতো নামায পড়ে কি হবে? অথবা বলল, আমি কতই না নামায পড়েছি, কি পেলাম? [মালাবুদ্দা মিনহু]

১৬. নবীজী সা. কে সর্ব শেষ নবী বলে বিশ্বাস না করা। [সূরা আহযাব:৪০, আল-ইমরান:৮১, আরাফ:১৫৮, বুখারী ও মুসলিম]

১৭. নবীজী সা.-কে বাশার বা পবিত্র মাটির তৈরী মানুষ মনে না করা। [সূরা কাহাফ:১১১, বনী ইসরাইল:৯৮,৯৫, ইসলামী আক্বীদা ও ভ্রান্ত মতবাদ:৫৭৯]

১৮. নবী রাসূলগণকে মাছুম বা নিষ্পাপ মনে না করা। [সূরা আলে ইমরান:৩১, সূরা আহযাব:২০]

১৯, যে কোন নবীকে দায়িত্ব পালনে ত্রুটি করেছেন বলে মনে করা। [তাফসীরে মারেফুল কুরআন:৬১৭]

২০. সাহাবায়ে কেরামকে আদেল (ন্যায়পরায়ণ) ও সত্যের মাপকাঠি বলে বিশ্বাস না করা। [সূরা বাকারা:১৩,১৩৭, শরহে নববী মুসলিম]

২১. সাহাবায়ে কেরামের সমালোচনা করা বা তাদেরকে গালি দেয়া অর্থাৎ খোলাফায়ে রাশেদীন থেকে শুরু করে বিশিষ্ট ওহী লেখক ও প্রিয় নবীজী সা. এর সম্মানিত স্ত্রী হযতর উম্মে হাবীবা রা. এর আপন ভাই হযরত মুয়াবিয়া রা. সহ যে কোনো সাহাবীর সমালোচনা করা হারাম ও কবীরা গুনাহ। [মিশকাত:২/৫৫৪, আকীদাতুত্ত্বহাবী, শরহে ফিকহুল আকবার:২০, কিতাবুল কাবাইর:২৩৮]
.
২২. হক্কানী উলামায়ে কেরামের সঙ্গে বিদ্বেষভাব পোষণ করা। [মিশকাত:১৯৭, মারেফে আকাবির:৪০১]

২৩. পিতা-মাতাকে কষ্ট দেয়া। [সূরা বনী ইসরাইল:২৩, কিতাবুল কাবাইর:৪৪]

২৪. পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া। [বাইহাকী, মিশকাত:৪২১, কিতাবুল কাবাইর:৪৪]

২৫. সামর্থ থাকা সত্ত্বে বৃদ্ধ পিতা-মাতার সেবা বা প্রয়োজন পুরণ না করা। [বুখারী ও মুসলিম, কিতাবুল কাবাইর:৪৫]

২৬. লটারীর টিকেট ক্রয়-বিক্রয় করা বা লটারীর পুরুষ্কার গ্রহণ করা। [ফিকহী মাকালাত, কিতাবুল ঈমান:৯৩]

২৭. মূর্তি, ভাষ্কর্য তৈরি করা। অনুরূপভাবে এগুলো ক্রয়-বিক্রয় করাও কবীরা গুনাহ। [আহমদ, মিশকাত:৩১৮]

২৮. কোনো প্রাণীর ছবি তোলা বা অঙ্কন করা। [বুখারী:২/৮৮০, কিতাবুল কাবাইর:১৮৩-১৮৫]

২৯. নাট্য ও নৃত্যানুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা বা দেখা। [মিশকাত:৩১৮]

৩০. গানবাদ্য করা বা শোনা। [তিরমিযী:২/৪৫, যাওয়াজির:২/৩৩৬]

৩১. নাচ, গান শিক্ষা করা বা শিক্ষা দেয়া। [মিশকাত:৪০৯-৪১১]

৩২. সামর্থ থাকা সত্ত্বেও অসহায় লোকের সাহায্য না করা। [সূরা বনি ইসরাঈল:২৬, মিশকাত:৪২৫]

৩৩. কারো প্রাপ্য হক বা পাওনা না দেয়া। [সূরা বনি ইসরাঈল:২৬, কিতাবুল কাবাইর:১১৮]

৩৪. সামর্থ থাকা সত্ত্বে ঋণ আদায়ে বিলম্ব করা। [মিশকাত:২৫২, কিতাবুল কাবাইর:১১৮]

৩৫. কাফের- ফাসেকদের পোষাক-আশাক ও আচার আচরণ অনুসরণ করা। [বুখারী, মিশকাত:২৭,৩৭৫, কিতাবুল ঈমান:১০৬]

৩৬. পায়জামা, প্যান্ট, লুঙ্গি ইত্যাদি গোড়ালীর নীচে পরিধান করা। [বুখারী:২/৮৬১, কিতাবুল কাবাইর:২১৭]

৩৭. নারী-পুরুষ একে অপরের আকৃতি ধারণ করা বা একে অপরের পোষাক পরিধান করা। [সূরা আহযাব:৩৩, মুসলিম:২০৫, কিতাবুল যাওয়াজির:১/২৫৮]

৩৮. এমন পাতলা বা টাইটফিট পোষাক পরিধান করা যদ্বারা সতর তথা ঢেকে রাখার অঙ্গসমূহ প্রকাশ পেয়ে যায়। [ সূরা আহযাব:৩৩, মুসলিম:২০,২০৫, কিতাবুল যাওয়াজির:১/২৫৮]

৩৯. এমন ছোট পোষাক পরিধান করা যদ্বারা পূর্ণরূপে সতর ঢাকে না। [সূরা আরাফ:২৬, মিশকাত:২৬৯, কিতাবুল যাওয়াজির:১/২৫৯]

৪০. মহিলাদের মাথার চুল কেটে মডেলিং করা বা কৃত্রিম চুল ব্যবহার করা। [কিতাবুল ঈমান:৮৯, তারগীব:৩/২০]

৪১. শ্রমিকের পারিশ্রমিক দেয়ার ক্ষেত্রে গরিমসি করা। [বুখারী, মিশকাত: ২৫৮, কিতাবুল কাবাইর:১১৯-১২০]

৪২. অন্যায় বিচার করা বা পক্ষপাতিত্ব করা। [সূরা নাহাল:১৬,৭৬, কিতাবুল কাবাইর:১৩৭-১৩৯]

৪৩. দুর্ভিক্ষ বা সংকটের সময় নিত্য প্রয়োজনীয় মাল-দ্রব্য অধিক মূল্য লাভের আশায় গুদামজাত করা। [মুসলিম, মিশকাত:২৪৬-৪৭, কিতাবুল যাওয়াজির:৩৮৭]

৪৪. জ্যোতিষী বা গণকের নিকট যাওয়া বা তার কথা বিশ্বাস করা। [মুসলিম, মিশকাত:৩৯৩, কিতাবুল কাবাইর:১৭১-১৭২]

৪৫. প্রিয়জনদের মৃত্যুতে শরীয়তের খেলাফ শব্দ উচ্চারণপূর্বক চিৎকার করে ক্রন্দন করা। [মিশকাত:১৫০, কিতাবুল কাবাইর:১৮৫-১৮৮]

৪৬. অন্যের ঘরে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করা বা উঁকি মেরে দেখা। [সূরা নূর: ২৭, গুনাহে বে লায্যত:২]

৪৭. ফরজ বা জরুরী পরিমাণ ইলম অর্জন না করা। [ইবনে মাযাহ, মিশকাত:২]

৪৮. ইলম অনুযায়ী আমল না করা। [বুখারী, মুসলিম:১/১৫৫-১৫৬]

৪৯. নিজ স্ত্রী এবং সন্তানদের প্রয়োজনীয় ইলম এবং আদব শিক্ষার ব্যবস্থা না করা। [সূরা তাহরীম:৬, তাফসীরে মাআরিফুল কুরআন]

৫০. আপন স্ত্রী এবং সন্তানদেরকে শীয়তের খেলাফ চলতে সুযোগ দেয়া বা এ ব্যাপারে শিথিলতা প্রদর্শন করা। [মিশকাত:১৮, কিতাবুল কাবাইর: ১৪৪-১৪৫]

৫১. কুরআন শরীফ শিখে ভুলে যাওয়া। [আবু দাউদ, মিশকাত:১৯১, কিতাবুল যাওয়াজির:১/১৯৯]

৫২. অন্যায় ও গোনাহের কাজে সমর্থন, সহায়তা ও সন্তুষ্টি প্রকাশ করা। [সূরা মায়িদাহ:৪২, কিতাবুল ঈমান:১০২]

৫৩. ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও অন্যায় কাজে বাধা না দেয়া। [মুসলিম, মিশকাত:৪৩৬, কিতাবুল ঈমান:১০২]

৫৪. রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হাতে থাকা সত্ত্বেও ইসলামী আইন প্রবর্তন না করা। [কিতাবুল ঈমান:১০৪]

৫৫. সৎ ও আমানতদার, যোগ্য লোকের পরিবর্তে অসৎ, খেয়ানতকারী, অযোগ্য লোককে (আত্মীয়তা বা অন্য কোনো স্বার্থের বশবর্তী হয়ে) নির্বাচিত করা। [কিতাবুল ঈমান:১০২]

৫৬. কোনো মুসলমানকে অন্যায়ভাবে কষ্ট দেয়া। [বুখারী:১/৬, কিাতাবুল কাবাইর:১২০]

৫৭. কোনো সৃষ্টিকে অন্যায়ভাবে কষ্ট দেয়া। যেমন- জবেহকৃত পশুর রূহ বের হওয়ার পূর্বেই বা মাছ ইত্যাদি না মেরে তার চামড়া তুলে ফেলা বা কোনো জীব-জন্তু ও কীট পতঙ্গকে আগুনে পুড়িয়ে বা পানিতে চুবিয়ে মারা। [মুসলিম, মিশকাত:৩৫৭, কিতাবুল কাবাইর:১৩২-১৩৩]

৫৮. আত্মহত্যা করা। [সূরা নিসা:২৯-৩০, বুখারী, মুসলিম মিশকাত:৩৫৭, কিতাবুল কাবাইর:১৩২-১৩৩]

৫৯. জন্ম নিয়ন্ত্রণের স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা বা গর্ভের সন্তান নষ্ট করা। [আহসানুল ফাতাওয়া:৮/৩৪৭-৩৫৩]

৬০. জমিনের সীমানা বা আইল ভেঙ্গে সীমানা পরিবর্তন করে অন্যের জমি গোপনে দখল করা। [মুসলিম, ফয়জুল কালাম, কিতাবুল ঈমান:৮৯, কিতাবুল যাওয়াজির:১/৪২৯]

৬১. সুন্দরী প্রতিযোগীতার ব্যবস্থা করা বা তাতে অংশ গ্রহণ করা। [সূরা নূর:৩১, সূরা আরাফ-২৬]

৬২. খাজা বাবার গান, যাত্রানুষ্ঠান বা জারি গানের আসর বসান বা তাতে অংশ গ্রহন করা। [মিশকাত:৩১৮, কিতাবুল ঈমান: ৮৯]
.
৬৩. এক সঙ্গে তিন তালাক প্রদান করা। (যদিও এক সাথে তিন তালাক দিলে তালাক পতিত হয়ে যায়, কিন্তু কাজটি কবিরা গুনাহের অন্তুর্ভুক্ত) [নাসাঈ, মিশকাত:২৮৪]
.
৬৪. পেশাব থেকে শরীর ও পোশাককে পবিত্র না রাখা। [বুখারী, মুসলিম, ইবনে মাযাহ:২৭]
.
৬৫. পুরুষের জন্য সোনা বা অন্য কোনো ধাতব দ্রব্যের আংটি বা অন্য কিছু ব্যবহার করা। (তবে পুরুষগণ ইচ্ছা করলে চার আনা পরিমাণ রৌপ্য নির্মিত আংটি ব্যবহার করতে পারে। ) [বুখারী, মুসলিম ও মিশকাত:৩১৮]
.
৬৬. পার্থিব মনোমালিন্যের কারণে পরস্পর তিন দিনের বেশী (ইচ্ছাকৃতভাবে) কথা বন্ধ রাখা বা সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করা। [বুখারী, মুসলিম, মিশকাত, ৪১৯ + ২০ + ২৭, কিতাবুল কাবাইর : ৫৪]
.
৬৭. জুমার নামাজ আদায় না করা বা জুমার আযানের পর দুনিয়াবী কাজে লিপ্ত থাকা। জুমার মুসুল্লীদের গর্দান ডিঙ্গিয়ে সামনে যাওয়া। [সূরা আল-জুমুআ : ৯, কিতাবুল কাবাইর : ৬৬]
.
৬৮. মুখ, দেহ কিংবা পোশাকের দুর্গন্ধ দূর না করা এবং সে অবস্থায় অন্য লোকের সংস্পর্শে আসা বা কথা বলা। [মিশকাত : ৪৪, কিতাবুল যাওয়াজির : ১/৪২২-৪২৭]
.
৬৯. মেহমানদের আদর-যত্ন না করা। [মিশকাত : ৪৪, কিতাবুল যাওয়াজির : ১/৪২২-৪২৭]
.
৭০. দুনিয়া অর্জনের জন্য ইলমে দ্বীন শিক্ষা করা। [মিশকাত : ৩০৫]
.
৭১. সামর্থ থাকা সত্বেও জরুরী কাজে কৃপণতা করা। [সূরা হাদীদ : ২৪, কিতাবুল ঈমান : ১০৪]
.
৭২. জিনা-ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়া। [সূরা নূর : কিতাবুল কাবাইর : পৃ.৫০, যাওয়াজির : ২/২১৯]
.
৭৩. সমকামিতায় লিপ্ত হওয়া অর্থাৎ পুরুষে-পুরুষে বা নারীতে- নারীতে যৌন ক্রিয়ায় লিপ্ত হওয়া। [সূরা আনকাবুত : ২৮, যাওয়াজির : ২/২২৯]
.
৭৪. হস্ত মৈথুন করা বা স্ত্রী ব্যতীত অন্য কোন পন্থায় বীর্যপাত ঘটান। [সূরা মাআরিজ : ২৯,৩১, যাওয়াজির : ২/২১৫]
.
৭৫. হায়েজ নিফাস অবস্থায় স্ত্রীর সাথে দেহিক সম্পর্ক স্থাপন করা বা স্ত্রীর পায়ুপথ ব্যবহার করা। [সূরা বাকারা : ২২২, কিতাবুল কাবাইর : পৃ.৩৭]
.
৭৬. পশুর সাথে জৈবিক চাহিদা পূরণ করা। [তিরমিযি, মিশকাত, যাওয়াজির : ২/২২৫]
.
৭৭. কারো মাল বিনা অনুমতিতে নিয়ে যাওয়া এবং পরবর্তীতে ফেরত না দেওয়া। [সূরা মায়েদা : ৩৮, তিকাবুল কাবাইর : পৃ. ১০৪-১০৫, কিতাবুল যাওয়াজির : ৫]
.
৭৮. ডাকাতি, ছিনতাই বা চাঁদাবাজী করা। [সূরা আনকাবুত : ২৯, মিশকাত : ২৫৫, কিতাবুল কাবাইর : পৃ. ৫]
.
৭৯. অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করা বা হত্যার হুমকি দেয়া। [সূরা বনী ইসরাঈল : ৩৩, কিতাবুল যাওয়াজির : ৩৮৩]
.
৮০. কাউকে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া। [সূরা মুমতাহিনা : ১২, কিতাবুল কাবাইর পৃ.৯৯, কিতাবুল যাওয়াজির : ২/২১৯]
.
৮১. মিথ্যা কসম খাওয়া বা মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া। [সূরা হুজরাত : ৬, কিতাবুল কাবাইর : পৃ. ৮৭, ১০৮]
.
৮২. আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তির নামে কসম খাওয়া। [কিতাবুল কাবাইর :পৃ.১১০, কিতাবুল যাওয়াজির : ২/৩৮০, মিশকাত : ২৯৬]
.
৮৩. মিথ্যা কথা বলা। [সূরা আলে ইমরান : ৬১, কিতাবুল কাবাইর : পৃ.১৩৩,১৩৭]
.
৮৪. গীবত তথা অন্যের দোষচর্চা করা বা শোনা। [সূরা হুজরাত : ১২, কিতাবুল যাওয়াজির : ২/১০]
.
৮৫. চোগলখুরী করা। [সূরা কলম : ১১, কিতাবুল কাবাইর : পৃ.১৬২, বুখারী]
.
৮৬. কাউকে অভিশাপ দেওয়া। [কিতাবুল কাবাইর : পৃ. ১৬৬, মিশকাত : ৪১৩]
.
৮৭. কোন মুসলমানকে গালি দেওয়া। [সূরা আনআম : ১০৮, বুখারী : ১/১১২, কিতাবুল কাবাইর : পৃ. ১১২-১১৮]
.
৮৮. কারো উপর জুলুম বা অত্যাচার করা। [সূরা ইবরাহীম : ৪২-৪৫, কিতাবুল কাবাইর : পৃ. ১১২-১১৮]
.
৮৯. কারো সম্মান নষ্ট করা। [তিরমিযি : ২৪, কিতাবুল যাওয়াজির : ২/২০৭]
.
৯০. কারো মাল চুরি বা আত্মসাত করা। [সূরা মায়েদা : ৩৮, কিতাবুল কাবাইর : পৃ. ১০৪-১০৫, কিতাবুল যাওয়াজির : ২/২৩৭]
.
৯১. সালাম বা হাঁচির জবাব না দেওয়া। [কিতাবুল যাওয়াজির : ৩৯৬]
.
৯২. কারো দোষ তালাশ করা বা কারো পিছনে লাগা। [কিতাবুল কাবাইর : পৃ.৬৯, তিরমিযি : ২/২৩]
.
৯৩. কারো প্রতি কু-ধারণা করা বা বিনা কারণে কাউকে দোষারোপ করা। [সূরা হুজরাত : ১২, যাওয়াজির : ১/১৫০]
.
৯৪. কাউকে মন্দ আখ্যা দিয়ে ডাকা। যেমন- কানা, টেরা, লেংড়া, বেঁটে, মটকু প্রভৃতি। [সূরা হুজরাত : ১১, কানজুল উম্মাল : ৫/২৩১, গুনাহে বে-লযযাত : পৃ.২৮]
.
৯৫. কুদৃষ্টি করা অর্থাৎ নারী-পুরুষ একে অপরের দিকে বা দাড়িবিহীন বালকদের দিকে কামভাবের সহিত তাকানো। অনুরূপভাবে কোনো অশ্লীল ছবি দেখাও কবীরা গুনাহ। [সূরা নূর : ৩০-৩১, মিশকাত : ২/২৭০, কিতাবুল যাওয়াজির : ২/৩,৫]
.
৯৬. কামভাবের সাথে অবিবাহিত পুরুষ একে অপরকে স্পর্শ করা। [সূরা আহযাব : ৩২, যাওয়াজির : ২/৩]
.
৯৭. পরপুরুষের সামনে মহিলাদের বেপর্দা হওয়া। [সূরা নূর : ৩১]
.
৯৮. পর নারী ও পর পুরুষ পরস্পর কামভাব নিয়ে কথা বলা। [সূরা আহযাব : ৩২, যাওয়াজির : ২/৩৪৯]
.
৯৯. যুবক যুবতীদের সহশিক্ষার ব্যবস্থা চালু করা বা সেখানে বেপর্দা হয়ে পড়াশোনা করা। [সূরা বনী ইসরাঈল : ৩২, সূরা নূর : ৩১, কিতাবুল ঈমান : পৃ. ৮৯]
.
১০০. কাউকে কোন উপকার করে খোটা দেয়া। [সূরা হুজরাত : ১১]
.
১০১. কারো প্রতি বিদ্রƒপ করে হাসা। [তিরমিযি : ২/১৫, গুনাহে বে লযযাত : পৃ. ১৫] ১০২. কাউকে ধোঁকা দেওয়া বা প্রতারণা করা। [তিরমিযি, মিশকাত : পৃ.৪২৮, যাওয়াজির : ২/১৩৬]
.
১০৩. কাউকে তার অতীত গুনাহের উপর লজ্জা দেয়া। [তিরমিযি]
.
১০৪. অহঙ্কার করা অর্থাৎ কাউকে নিজের থেকে ছোট মনে করা। [বুখারী, মুসলিম, মিশকাত : পৃ. ৪৩৩, কিতাবুল কাবাইর : পৃ.৮৪]
.
১০৫. নিজেকে উত্তম বা আল্লাহ পাকের নিকট মকবুল মনে করা। [সূরা নজম : ৩২, কিতাবুল যাওয়াজির : ২/১১৫]
.
১০৬. অন্যায় বা পাপকে ঘৃণা না করা। [মিশকাত : পৃ.৪৩৬]
.
১০৭. পাপীকে ঘৃণা করা (উল্লেখ্য যে, পাপকে ঘৃণা করা ফরয কিন্তু পাপীকে ঘৃণা করা হারাম)। [মুসলিম, মিশকাত : পৃ. ৪৩৩]
.
১০৮. সঠিক দলীল প্রমাণ ছাড়াই সত্য বা হককে না মানা। [মুসলিম, মিশকাত : পৃ. ৪৩১, কিতাবুল কাবাইর : পৃ.২২]
.
১০৯. অন্তরে কারো প্রতি হিংসা বা বিদ্বেষ পোষণ করা। [তিরমিযি, আবু দাউদ, মিশকাত : পৃ. ৪২৮, যাওয়াজির : ৮৯]
.
১১০. আপন স্বার্থের জন্য রাগ করা। তবে দ্বীনি প্রয়োজনে রাগ করা কেবল বৈধই নয়, কোন কোন সময় তা জরুরীও হয়ে পড়ে। [মিশকাত : পৃ. ৪৩৪, শাময়েলে তিরমিযি : ১৫, যাওয়াজির : ২/৮৪]
.
১১১. কারো ক্ষতি কামনা করা। [বুখারী :১/১৩]
.
১১২. কারো ক্ষতি দেখে খুশী হওয়া। [মুসলিম : পৃ. ১১৫, গুনাহে বে লযযাত : পৃ.৬৫]
.
১১৩. রিয়া বা লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে বা কারো প্রশংসা লাভের আশায় কোনো ইবাদত করা। [সূরা আহকাফ : ১১০, মিশকাত : পৃ.৪৫৫, যাওয়াজির : ১/৬২]
.
১১৪. বড়দের সাথে বেআদবী করা। তাদেরকে সম্মান বা শ্রদ্ধা না করা। অনুরূপভাবে ছোটদেরকে স্নেহ না করা। [তিরমিযি : ২/১৪, মিশকাত : ৪২, কিতাবুল ঈমান : ১০৩]
.
১১৫. স্বামীর অবাধ্য হওয়া। [বুখারী, মুসলিম, মিশকাত : প”.২৮৩, কিতাবুল কাবাইর : ১৭৪-১৭৭]
.
১১৬. স্ত্রীর উপর জুলুম করা। [বুখারী : ২/৭৮৫, মিশকাত : ২৮১]
.
১১৭. একজনের বিবাহের প্রস্তাবের উপর অন্য জনের প্রস্তাব দেয়া। [বুখারী, মুসলিম, মিশকাত : ২৭১]
.
১১৮. একাধিক স্ত্রীর ক্ষেত্রে ইনসাফ বা সমতা রক্ষা না করা। [সূরা নিসা : ৩, মিশকাত : ২৮৯, যাওয়াজির : ২/৬০]
.
১১৯. যৌতুক দাবী করা বা গ্রহণ করা। [মুসলিম, মিশকাত : ৪৩৪-৪৩৫, কিতাবুল কাবাইর, কিতাবুল যাওয়াজির : ২/৩১২-৩১৪] ১২০. সুদ খাওয়া বা দেয়া। [মুসলিম, মিশকাত : ৪৪৪, কিতাবুল কাবাইর : ৬৭, কিতাবুল যাওয়াজির : ১/৩৭৬]
.
১২১. সুদের চুক্তিপত্র লেখা বা সুদের লেনদেন হয় এমন কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করা। [মুসলিম, মিশকাত : পৃ.২৪৪, কিতাবুল যাওয়াজির : ৩৭৬]
.
১২২. সুদের সাক্ষী হওয়া। [মুসলিম, মিশকাত : পৃ.২৪৪, কিতাবুল যাওয়াজির : ১/৩৭৬]
.
১২৩. ঘুষ খাওয়া, ঘুষ দেয়া বা ঘুষের কাজে সহায়তা করা। [মুসলিম, মিশকাত : পৃ.৪৩৪-৪৩৫, কিতাবুল যাওয়াজির : ২/৩১২-৩১৪]
.
১২৪. বীমা বা ইন্সুরেন্সে অংশগ্রহণ করা। [ফিকহী মাকালাত, কিতাবুল ঈমান : পৃ.৮৯]
.
১২৫. সুস্থ সবল হওয়া সত্বেও ভিক্ষাবৃত্তি করা। [বুখারী, মুসলিম, মিশকাত : ১৬২-১৬৩]