অমুসলিম হলে কি রুকইয়াহ করতে পারবে? কিভাবে করবে?

জ্বি, রুকইয়াহ সবাই করতে পারবে। মুসলিম/অমুসলিম কোনো ভেদাভেদ নেই এখানে। মুসলিমরা যেভাবে রুকইয়াহ করে, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান-অন্যরাও সেভাবেই কর...

Search This Blog

Wednesday, December 30, 2020

বিয়ের ক্ষেত্রে সতর্কতা

ছোট করেই লিখি। বিয়ের জন্য কি কি বিষয় দেখা লাগবে সেগুলো মোটামুটি আমাদের আইডিয়া আছে। কারও না থাকলে কোনো আলেমের কাছে গেলেই বলে দিবেন ইন শা আল্লাহ।

আমি যেটা বলতে চাই তা হল, বিয়ের আগেই মেয়ের/ছেলের পরিবার কবিরাজ আসক্ত কিনা ভালমত যাচাই করে নিবেন। কিভাবে যাচাই করা যেতে পারে তার কয়েকটি টিপস দিচ্ছিঃ
  • ঘরে তাবিজ টাইপের কিছু ঝুলানো আছে কিনা। ঘর বন্ধের জন্য নকশা ঝুলায়।
  • আপনার মা/বোন যেন মেয়েকে খুটিয়ে দেখে গলায়, বাহুতে, কোমড়ে তাবিজের অস্তিত্ব বোঝা যায় কিনা।
  • একই ভাবে মেয়ের ফ্যামিলির মেম্বাররা ছেলের ফ্যামিলিতে খোজ নিতে গিয়ে তাদের ঘর ও সদস্যদের উপর সূক্ষ্মভাবে অনুসন্ধান করলেই বোঝা যাবে ইন শা আল্লাহ।
  • আশেপাশে কোনো মাজার আছে কিনা। সেই মাজারের কোনো কাহিনি আছে কিনা (ভুয়া গল্প টাইপের)। কৌশলে কথা তুললেই বের হয়ে আসবে ভিতরের খবর ইন শা আল্লাহ।মাজারের অন্ধভক্ত, কিছু হলেই মাজারে দৌড় দেয় এমন লোক দ্বারা আপনি ঝামেলায় ফাসবেন এমন সম্ভবনা খুব বেশি।
এভাবে নিজেই চিন্তা করে বের করবেন আর কিভাবে জানা যেতে পারে।
যদি খোজ না নেন, আর ওমন কোন ফ্যামিলিতে বিয়ে করেন/হয় তাহলে মেয়ের জামাই যেন মেয়ের কথা শুনে এই টাইপের ঘটনা ঘটতে পারে। ছেলে যেন বউকে দেখতে না পারে এই টাইপের ঘটনা ঘটতে পারে। (আল্লাহ হেফাজত করুন। আমি বলছি না ঘটবেই।)
তাছাড়া কোনো কিছু হলেই তারা কবিরাজের কাছে, বাবার কাছে দৌড় দেয়। আপনি সুস্থ হলেও নানান কিছু বলে এটা সেটা করে আপনার সিভিয়ার অসুস্থ করবে বা অসুস্থতার দিকে নিয়ে যেতে পারে। পরিস্থিতি চরম পরিনতির দিকে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়।
কি করা? ভালভাবে বোঝানো। বুঝলে তো আলহামদুলিল্লাহ, বিয়ের পাশাপাশি দাওয়াতি কাজ হল। আর না বুঝলে আপনার সিদ্ধান্ত আপনি কি করবেন।