অমুসলিম হলে কি রুকইয়াহ করতে পারবে? কিভাবে করবে?

জ্বি, রুকইয়াহ সবাই করতে পারবে। মুসলিম/অমুসলিম কোনো ভেদাভেদ নেই এখানে। মুসলিমরা যেভাবে রুকইয়াহ করে, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান-অন্যরাও সেভাবেই কর...

Search This Blog

Friday, April 17, 2020

আমার যদি সেন্টার থাকতো!

[দায়মুক্তি কথাবার্তাঃ আমার কোনো সেন্টার নেই। আমি কোনো সেন্টারে বসিও না। কাজেই যারা ভাবছেন “এই লোকেরতো সেন্টার নেই, সেন্টারে বসেও না তার থেকে আর কি শিখবো”- তারা প্লীজ এখানেই ক্ষান্ত দেন। নিচে নেমে আর সময় নষ্ট করবেন না।]
একজন পেশেন্টকে কিভাবে সামলানো উচিত- এ নিয়ে আমি মনেকরি প্রত্যেক রাক্বী ভাইয়ের চিন্তা-ভাবনা করা উচিত। কিভাবে আরও ভালভাবে সামলানো যায়-সেটাও ভেবে-চিন্তে বের করা উচিত। তাহলেই ইনশাআল্লাহ সার্ভিস আরও উন্নত হবে। সেন্টার নেই বলে, ভাবতে পারবো না- এমন বিধিনিষেধতো কেউ জারি করে নি। আর আমার ভাবনা কাউকে গ্রহণ করতেই হবে-এটাও আমি মনে করি না।
১। আমি চাইবো কেউ যখন আমার কাছে কোনো সমস্যা নিয়ে আসে তার আস্থা অর্জন করার জন্য যে, “ভাই, আপনি সঠিক পথে চলতে চেয়েছেন, আল্লাহ তায়ালা আপনাকে পথ দেখিয়েছেন। ইন শা আল্লাহ আপনি সুস্থ হয়ে যাবেন। কুরআন ও সুন্নাহমত চিকিৎসা পদ্ধতি ফলো করেন। এটা সঠিক রাস্তা। আর আগে কি করেছেন না করেছেন সেগুলোর জন্য আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করে ক্ষমা চেয়ে নিন। আপনার সমস্যা যত জটিলই হোক, আল্লাহর তায়ালার জন্য এটা খুবই সহজ। আপনি আল্লাহর থেকে চেয়ে নিন। বাকি আপনাকে আমার পক্ষ থেকে যতটুকু পরামর্শ দেয়ার ইন শা আল্লাহ পাবেন।”

রুকইয়াহর পেশেন্টকে মারধর করা প্রসঙ্গ

USN রুকইয়াহ সার্ভিস
রাক্বী আহমাদ রবীন
৪০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন
(এখানে থাপ্রে জ্বিনের দাত ফেলা হয়)
ফোনঃ _____________________

এমন সাইনবোর্ড থেকে থমকে দাঁড়াবেন? অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকবেন?
আমি কিন্তু খুব একটা অবাক হব না। কেন অবাক হব না সেটাও বলি। ইতোমধ্যে কিন্তু এমন ঘটনা ঘটেছে। এতে জ্বিনের দাত পড়েছে কিনা সেটা আমার জানা নেই। পড়তেও পারে, কত অবাক করার বিষয় দুনিয়াতে ঘটে! এটাও ঘটতে পারে। কে জানে!
ভিনগ্রহের কোন প্রাণী এসে রুকইয়াহ করেনি। আমাদেরই কোনো ভাই করেছেন। রুকইয়াহর আয়াত তেলাওয়াত করছেন আর রোগীকে থাপ্রাচ্ছেন। পাশেই রোগীর আত্মীয়-স্বজন সেগুলো হজমও করছেন।
আত্মীয়দের দোষ দেই না। বহু বছর ধরে জ্বিন/যাদুর সমস্যায় ভুগছে পরিবারে আদরের কোনো সদস্য। কত আর সহ্য করা যায়। বাই হুক অর বাই কুক, এর থেকে নিস্তার পেতে হবে। যেখানে যার কথা শুনেন সেখানেই রোগী নিয়ে দৌড় দেন।(কুফুরীতে লিপ্ত ভন্ড কবিরাজ/হুজুররা কিভাবে রোগীর ফায়দা নেয় সেটা লিখতে গেলে আরও অনেক অনেক নিচের রূচিতে নামতে হবে।) কোথাও কোনো ফায়দা হয় না। কিছুদিন হয়ত ভাল থাকে তারপর আরও দ্বিগুন শক্তিতে ফিরে আসে। এরই মধ্যে কেউ যদি বলি সহিহ, শরঈ পদ্ধতিতে অমুকে করে তাহলে তার কাছে যাওয়া বা তাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে আসা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু এরপরই ঘটে আশাভঙ্গের ঘটনা।

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কি করনীয়

প্রথমেই বলে নেই, আমি কোনো আলেম নই। বলতে গেলে তেমন কিছু জানিও না। কাজেই আমার এই কথাগুলো সর্বশেষ কথা না। কোনো যোগ্য ব্যক্তি যদি বলেন আমি যেভাবে বলেছি কথাগুলো সেভাবে না বরং অন্যরকম তবে তার কথাই ঠিক। আর নিম্নোক্ত পরামর্শ অবশ্যই ডাক্তারী পরামর্শের পাশাপাশি অনুসরণ করতে হবে।
১। হাদিসে এসেছে, “আল্লাহ তায়ালা যত প্রকার রোগই সৃষ্টি করেছেন, প্রত্যেক রোগেরই ঔষধ সৃষ্টি করেছেন।” কাজেই করোনাও চিকিৎসাযোগ্য রোগ। আল্লাহর হুকুমেই তা প্রতিরোধ করা সম্ভব। অতএব, এই রোগের ঔষুধের জন্য চেষ্টা ফিকির করতে হবে এবং আল্লাহর কাছেই সাহায্য চাইতে হবে।
২। কালোজিরা খাওয়া। হাদিসে এসেছে, “কালোজিরা একমাত্র মৃত্যু ব্যতীত সর্ব রোগের অব্যর্থ মহৌষধ।”

জ্বিনের রোগীকে জেরা

ধরেন আমি কোনো সেন্টারে বসি। আরও ধরেন, আপনার নিকট আত্মীয়া অসুস্থ আর আপনি আমার কাছে রুকইয়াহ করাতে এসেছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমি বুঝতে পারলাম এখানে রুকইয়াহ করা উচিত। শুরু করার পর জ্বিন হাজির হল। কথাবার্তা চালালাম। বুঝতে পারলাম জ্বিনটা মেয়েটার উপর ইচ্ছামত অত্যাচার করে। এবার আমি ধর্ষণ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হয়ে গেলাম।
"করছো?"
"কয়বার করছো?"
"কেমনে করছো?"

ভেবে দেখেন আপনার সামনে আপনার মা/বোন/স্ত্রী/মেয়েকে আমি এই প্রশ্নগুলো করছি। আপনার কেমন লাগবে? আমার মুখের মানচিত্র পরিবর্তন করে দিতে ইচ্ছা করছে?
স্বাভাবিক, করারই কথা।

রুকইয়াহ করার সময় কান্না পেলে

রুকইয়াহ করার সময় বা করানোর সময় কাঁদলে বা কান্না পেলে জ্বিনের সমস্যায় আক্রান্ত?
রুকইয়াহ করার সময় জ্বিন দ্বারা আক্রান্ত কেউ কাঁদতে পারে। তবে কান্না করলেই যে জ্বিন দ্বারা আক্রান্ত-এমনটা নাও হতে পারে।
আল্লাহ তায়ালার কালামের আলাদা তাছির বা প্রভাব রয়েছে। এর প্রভাবে পাথর হৃদয়ও গলে যায়। যারা রুকইয়াহ করেন বা রুকইয়াহ করাতে কোনো রাক্বীর কাছে যান তাদের হৃদয় ক্ষত বিক্ষত এমনিতেই থাকে। ক্বারীদের/রাক্বিদের কন্ঠে সুমধুর তেলাওয়াত তাদের মনোজগতে তোলপাড় তুলতেই পারে। কুরআনের তাছিরে কান্না আসতেই পারে। এমনিতেও আপনি যদি কোন কুরআনের তেলাওয়াত মন দিয়ে শুনেন আপনার হৃদয় গলতে বাধ্য।
হয়ত তার কোন পুরনো কথা মনে পড়েছে। মনের গভীরের সুপ্ত কোন ব্যথা জেগে উঠেছে সেসব কথা মনে করেই কান্না পাচ্ছে।
আবার সে জ্বিন/যাদুর রোগীও হতে পারে।
সাইকোলজিক্যাল ও স্প্রিরিচুয়াল দুইটি আলাদা বিষয়। এখন দক্ষ রাক্বীর উচিত হল এসব বিষয় চিন্তাভাবনা করা। যদিও রুকইয়াহতে কোনো ক্ষতি নেই। তবুও সঠিক চিকিৎসা একজন মানুষ যেন পান সেটিও যথাসাধ্য নিশ্চিত করা উচিত।

কোয়ান্টামের ফাকি

কোয়ান্টামের সাথে ইসলামের দ্বন্ধটা কোথায় সেটা নিয়ে আগে অনেক ভেবেছি। কলিগরা যখন আমাকে নানান কথা বলতো। আমি পালটা প্রশ্ন করতাম। কোন উত্তর পেতাম না। আমিও তাদের কনভিন্স করতে পারতাম না, তারাও আমাকে পারতো না।
কোয়ান্টার নিয়ে আগে আরও দুইটি লেখা আমার ছিল। সেগুলো নোট আকারে আছে সংরক্ষিত। সেখানে অনেক কথাই এসেছে। আমার বিবেক বিবেচনা আমার কাছে, আপনার বিবেক বিবেচনা আপনার কাছে। আমি কোনও কিছু প্রমান করতে চাচ্ছি না। আমি শুধু বলছি, আপনার ইচ্ছা হলে শুনবেন, না হলে কে জোর করছে?
রুকইয়াহ গ্রুপের সাথে যুক্ত হবার পর নানান জায়গা থেকে ফোন আসে। তেমনি একজন ফোন দিলেন। কথায় কথায় জানলাম তিনি কোয়ান্টামের প্রো মাস্টার্স কোর্স করা। তিনি আমাকে বললেন, প্রো মাস্টার্স কোর্সে শেখায় কিভাবে মনের ভিতরে অন্তর্গুরু বসাতে হয়। যেকোন কিছু দরকার করে অন্তর্গুরুর কাছে চাইতে হয়।

অনিদ্রা/ইনসমনিয়ার জন্য রুকইয়াহ পরামর্শ


"যারা রাতে ঘুমাতে পারেন না তাদের জন্য আমার নির্দেশনা হল বিছানায় থেকে উঠে সালাতে মনোনিবেশ করা। আমি বিশ্বাস করি এটি অনিদ্রারোগীদের জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী চিকিৎসা বিশেষ করে শয়তানের কারনে যারা ইনসমনিয়ায় ভোগে।
এছাড়াও আমি অনিদ্রারোগীদের
এবং
২। রুকইয়াহর গোসল https://facebook.com/ruqyahbd.official/posts/578656885874022
করতে বলে থাকি।"
- মূলঃ মুহাম্মাদ তিম হাম্বল

নব্য কবিরাজদের পদধ্বনি

দুই ধরনের কবিরাজদের কথা জানি। প্রথম প্রকারে রয়েছেন অনেক মুফতি, মাওলানা, মসজিদের ঈমান, মাদ্রাসার শিক্ষক, খানকার গদীনসীন পীর, মাজারের খাদেমসহ অন্যধর্মের উপাসক, শিক্ষক, প্রশিক্ষক, তান্ত্রিক এবং আরও কিছু লেবারসধারী মানুষ। আমরা যারা সাধারণ মানুষ আছি তাদের মধ্যে জীবনে কখনো কোন কবিরাজের কাছে যায় নি, এমন মানুষ মনে হয় রেয়ারই হবেন।
তাদের যে নামেই ডাকা হোক না কেন, তাদের কর্মপদ্ধতি কাছাকাছি। জেনে-বুঝে হোক বা অজ্ঞতার কারণেই হোক তারা শিরকি, কুফরি কর্মকাণ্ড তথা শয়তানের পুজায় লিপ্ত। যতবড় ইসলামী টাইটেলওয়ালা হোক না কেন তারা ইসলাম থেকে বহুদূরে চলে গিয়েছে। শয়তান তাদের ধোকার মধ্যে রেখেছে, করেছে পথভ্রষ্ট। এই বিষয়ে কিছুটা বিস্তারিত এই লিংকে পাবেন। লিংকের সবলেখাগুলো না থাকলেও কিছু কিছু লেখা পাবেন ইনশাআল্লাহ।