অমুসলিম হলে কি রুকইয়াহ করতে পারবে? কিভাবে করবে?

জ্বি, রুকইয়াহ সবাই করতে পারবে। মুসলিম/অমুসলিম কোনো ভেদাভেদ নেই এখানে। মুসলিমরা যেভাবে রুকইয়াহ করে, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান-অন্যরাও সেভাবেই কর...

Search This Blog

Tuesday, April 30, 2019

জিন সম্পর্কে সাধারন কিছু কথা

জিন মানুষের কিভাবে ক্ষতি করে এবং কিভাবে সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠা যায় সেগুলো আলোচনার পূর্বে জিন নিয়ে সাধারন কিছু কথা জানা যাকঃ

১। জিনেরা আল্লাহ তায়ালার সৃষ্ট জিব। মানুষের মতই তাদের জন্ম, মৃত্যু রয়েছে। 

২। জিনেরা মানুষকে দেখতে পায় কিন্তু মানুষ জিন দেখতে পায় না।

৩। তাদের বুদ্ধিমত্তা ও ভাল-মন্দ বাছাইয়ের স্বাধীনতা রয়েছে। 

৪। জিনদের মধ্যে যারা আল্লাহর হুকুম মানবে তাদের জন্য পরকালে রয়েছে পুরস্কার এবং যারা আল্লাহর হুকুম অস্বীকার করবে তাদের জন্য থাকবে কঠোর শাস্তি।

৫। ধোয়াহীন আগুন থেকে জিনদের তৈরি করা হয়েছে। 

৬। জিনেরা নিজেদের রূপ পরিবর্তনে সক্ষম।  জিন যদি মানুষ বা অন্যকোন প্রানির রূপ ধারন করে তখন মানুষ জিন দেখতে পায়। মানুষ ছাড়া প্রানিকুলের মধ্যে কুকুর এবং গাধারা জিন দেখতে পায়।

Friday, April 26, 2019

তাবিজ বা কবিরাজের দেয়া অন্য কোন জিনিস নষ্ট করার পদ্ধতি

বিপদে পড়ে অথবা কোন অবৈধ উদ্দেশ্য পূরণের জন্য মানুষ যখন কবিরাজ/হুজুর/বৈদ্যের কাছে যায় তখন কবিরাজ/হুজুর/বৈদ্যরা সাধারনত যেসব জিনিস দিয়ে থাকে তা হলঃ


  • তাবিজ
  • মাদুলি
  • মাছের কাটা
  • সুই
  • ধাতুর কোন ফলা
  • নকশা করা আংটি/মাটির পাত্র/অন্য কোন পাত্র
  • পানি পড়া 
  • কোন ধরনের পাউডার ইত্যাদি


রুকইয়াহ করার আগে এসব নষ্ট করা জরুরী। নিজের শরীরেরগুলো তো বটেই এমনকি ঘরেও ভালভাবে খুজে দেখা উচিত কোথাও কোন সন্দেহজনক কিছু আছে কিনা। থাকলে নষ্ট করতে হবে। তবে ঘরের অন্য সবাই যদি তাবিজের ভক্ত হয় এবং তাদের বোঝানো না যায় তাহলে যিনি রুকইয়াহ করবেন তিনি তার শরীর ও তার ঘরের সব তাবিজ নষ্ট করে রুকইয়াহ করতে পারবেন।

Tuesday, April 23, 2019

শয়তান থেকে সুরক্ষার সহজ কিছু আমল

মুহাম্মাদ তিম হাম্বলের লেখা থেকে এই পোস্টটি তৈরি করা হল। ইন শা আল্লাহ উপকারে আসবে।

আমল করার জন্য নিচের বিষয়গুলো গুলো শিখে নেয়া দরকারঃ

১। বিসমিল্লাহ

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ

অর্থঃ অতিশয় দয়ালু আল্লাহর নামে


২। সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক, সুরা নাস

Friday, April 19, 2019

বদনজরের রুকইয়াহর আয়াতের তালিকা

আয়াত তেলাওয়াত করা সর্বোত্তম। মুখস্থ তেলাওয়াত করতে হবে এমন কোন শর্ত নেই। কুরআন শরীফ থেকে দেখে তেলাওয়াত করতে পারবেন। প্রতিদিন দুই ঘন্টা তেলাওয়াত করা উচিত। 

আয়াতের তালিকাঃ 

১। সুরা ফাতিহা

২। সুরা বাকারা। আয়াত নং- ৫, ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ৫০, ৫৫, ৬০, ৬৯, ৭৬, ১০৫, ১০৯, ২৪৭, ২৫৫, ২৬৯, ২৮৫, ২৮৬। 

৩। সুরা আলে ইমরান। আয়াত নং- ১৩, ১৪, ২৬, ২৭, ৩৩, ৩৪, ৩৫, ৩৬, ৩৭, ১১৮, ১১৯, ১২০, ১৬৯, ১৭০, ১৭১, ১৭২, ১৭৩, ১৭৪, ১৮৬। 

৪। সুরা আন-নিসা। আয়াত নং- ২৭, ৩২, ৫৩, ৫৪, ৭৩, ১০৮, ১১৩, ১৪১।

Thursday, April 18, 2019

বদনজর লাগলে কি করবেন?


একাধিক পদ্ধতিতে বদনজরের চিকিৎসা করা যায়ঃ

প্রথম পদ্ধতিঃ আব্দুল্লাহ লেখা পড়ায় ভাল। রেজাল্ট শীট দেখার পর আব্দুল্লাহর আব্বু খুবই চমৎকৃত হলেন। নানাভাবে আব্দুল্লাহর প্রশংসা করলেন। আব্দুল্লাহর আম্মু খেয়াল করে দেখলেন সেদিনের পর থেকে আব্দুল্লাহ পড়ালেখায় মন দিচ্ছে না। শুধু দুষ্টুমির চিন্তা করে, একদম কথা শুনে না। তিনি সন্দেহ করলেন নজর লেগেছে। 

তিনি আব্দুল্লাহর আব্বুকে অযু করতে বললেন। অযুর ব্যবহার করা পানিটা তিনি বালতিতে নিলেন। সেই হাত, পা, মুখ ধোয়া পানি গোসলের আগে আব্দুল্লাহর গায়ে ঢেলে দিলেন। এরপর থেকে আব্দুল্লাহ একদম আগের মত হয়ে গেল। পড়াশুনা করতে পারছে, দুষ্টুমিও করছে না। 

জ্বী, এটাই প্রথম পদ্ধতি। যদি আপনি জানেন কার নজর লেগেছে তাহলে তার অযুর পানি নিবেন, এরপর রোগীর গায়ে ঢেলে দিবেন। ইন শা আল্লাহ, রোগী সুস্থ হয়ে যাবে। এই পদ্ধতি বাচ্চা, প্রাপ্তবয়স্ক সবার জন্য প্রযোজ্য হবে।এই পদ্ধতি একবার অনুসরণ করলেই রোগী আল্লাহর হুকুমে সুস্থ হয়ে যায়।  

দ্বিতিয় পদ্ধতিঃ এখন প্রশ্ন আসে যে, যদি আব্দুল্লাহর আম্মু না জানতেন কার নজর লেগেছে তাহলে কিভাবে কার অযুর পানি নিতেন? 

Monday, April 15, 2019

বদনজর এবং এর লক্ষন সমূহ

অতিসংক্ষেপে যদি বলতে চাই তাহলে বলতে হয় বদনজর হল অন্তরের এক প্রকার অসুখ যা তীব্রভাবে অন্যকে আক্রমন করে। অন্যের কোন অসাধারণ বিষয় দেখলে মানুষের মনে সাধারণত একটু ঈর্ষাভাব জন্ম নেয়। অন্যের নিয়ামত দেখে মানুষের মনে দুঃখবোধ জন্ম নেয়। সেটার দিকে বার বার তাকায়, বার বার প্রশংসা করে অথচ আল্লাহর নাম স্মরণ করে না। এভাবে এই নিয়ামত ক্ষয়প্রাপ্ত হয় বা ধ্বংস হয়ে যায়। একেই বদনজর বলে। বদনজর পরশ্রীকাতর ব্যক্তির অন্তর থেকে বের হওয়া এক বিষাক্ত তীর যা আক্রান্ত ব্যক্তিকে প্রচন্ডভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করে। এই তীর কখনো লেগে যায়, কখনো মিস হয়। যদি উক্ত ব্যক্তি আগে থেকেই উদাসীন হয় তাহলে তীর লেগে যায়। আর যে সতর্ক থাকে আল্লাহ থাকে সাহায্য করেন, বাঁচিয়ে দেন। 

বদনজর থেকে বাঁচার জন্য কোন নেয়ামতের কথা বলার সময় আল্লাহর নাম স্মরণ করতে হবে। যেমন, "আলহামদুলিল্লাহ আমার বাবু লেখাপড়ায় খুব ভাল।" "মা শা আল্লাহ, তোমার চুল খুব সুন্দর।" এভাবে কথা বললে ইন শা আল্লাহ বদনজর থেকে বাঁচা যাবে। যদি অন্য কেউ বলে অথচ আল্লাহর নাম না নেয় তাহলে যাকে বলা হচ্ছে সে বলবে। যেমন, কেউ যদি বলে "তোমার চুল তো খুব সুন্দর!" তাহলে বলব, "আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ দিয়েছেন।"

ব্রণের সমস্যার জন্য কি করনীয়?

মূলত রুকইয়াহ রিলেটেড কথা-বার্তা বলার জন্য লিখছি। কিন্তু অন্য কথাও আলোচনা করা যাক প্রথমে।

জীবনে কখনও মুখে ব্রন হয়নি এমন মানুষ পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ আছে আমার। অনেকের শুধু মুখে নয় শরীরের অন্য জায়গাতেও ব্রনের মত বের হয়। এটা একটা বিরক্তিকর সমস্যা তাতে কোন সন্দেহ নেই। গোলগাল গ্লেসি চেহাড়া ব্রনের কারণে বিদঘুটে হয়ে উঠে বিধায় নারীজাতীর অন্যতম শত্রু এই ব্রন!

১। খাওয়ার অভ্যাসঃ খাওয়ার অভ্যাসে গোলমাল করে ব্রন উঠতে পারে মুখে। কাজেই সহজে হজম হয় এমন খাবার গ্রহণ করা উচিত। ভাজা, পোড়া, বাইরের খাবার সীমিত পর্যায়ে রাখা উচিত।

২। ঘুমের অভ্যাসঃ রাতে ঘুমের অভ্যাস করুন। একটানা ৬ ঘন্টা যেন ঘুমাতে পারেন সে দিকে খেয়াল রাখবে। সারাদিনে ৬ ঘন্টা না, রাতে ৬ ঘন্টা। এগারোটার দিকে শুয়ে পড়লে আরামসে ৬ ঘন্টা ঘুমুতে পারবেন।

Sunday, April 14, 2019

তাবিজ জায়েজ? কেন তাবিজ থেকে দূরে থাকবেন?

কোন ফতোয়া দেয়া বা কারও সমালোচনা করা এই পোস্টের উদ্দেশ্য নয়।

হানাফি ফিকহের ফতোয়া অনুযায়ী তাবিজ জায়েজ। তবে কিছু শর্ত আছে। কি শর্ত? ইসলামে কয়েক প্রকার তাবিজ জায়েজ নয়। যথা-

১-কুরআন হাদীস দ্বারা ঝাড়ফুক দেয়া ছাড়া শুধু তামা, পিতল বা লোহা দ্বারা তাবিজ বানিয়ে লটকিয়ে রাখা। অর্থাৎ শুধু এগুলো লটকানো দ্বারাই রোগমুক্ত হওয়া যাবে বিশ্বাস করে তা লটকানো নাজায়িজ।

২-এমন তাবিজ যাতে আল্লাহর নাম, কুরআনের আয়াত, দুআয়ে মাসূরা ব্যতিত শিরকী কথা লিপিবদ্ধ থাকে।

৩-তাবীজকে মুয়াসসার বিজজাত তথা তাবীজ নিজেই আরোগ্য করার ক্ষমতার অধিকারী মনে করে তাবিজ লটকানো। এ বিশ্বাস জাহেলী যুগে ছিল, বর্তমানেও ইসলাম সম্পর্কে কিছু অজ্ঞ ব্যক্তিরা তা মনে করে থাকে।

দুআ' ও রুকইয়াহ

গ্রুপের কাজ করতে যেয়ে যেসব বিচিত্র অভিজ্ঞতা হয়েছে তার মধ্যে একটি হল, যদি কারও সমস্যার কথা শুনে যদি দুআ করতে বলি তাহলে মনেকরে তার সমস্যাকে গুরুত্ব দেই নি অথবা রাগ করে রুকইয়াহ সাজেস্ট না করে দুআ'র কথা বলেছি। অথচ দুআ'র গুরত্ব অপরিসীম। যাদুক্রান্ত হয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর কাছে বার বার দুআ' করেছিলেন, যার বদৌলতে আল্লাহ তায়ালা তাঁর প্রিয় হাবীবকে সুস্থ করেছিলেন। মেশকাত শরীফে হাদিস এসেছে যেখানে "দুআ'কে আসল ইবাদত", "ইবাদতের মগজ" বলে উল্লেখ করা হয়েছে। (মেশকাত, ৫ম খণ্ড, এমদাদিয়া লাইব্রেরী। এর মানে কিন্তু এই না যে, ফরয ইবাদত বাদ দিয়ে শুধু দুআ'ই করে যাব!)

পরবর্তি কথা বলার আগের তাকদ্বীর বা ভাগ্য নিয়ে দুটো হাদিস শেয়ার করতে চাই।

১। সহীহ মুসলিমে আছে, আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “বদনজর সত্য, ভাগ্যের চেয়েও আগে বেড়ে যায় এমন কিছু যদি থাকতো, তাহলে অবশ্যই সেটা হতো বদনজর! যদি তোমাদের বদনজরের জন্য গোসল করতে বলা হয় তবে গোসল কর"। (ইফা, হাদিস নং ৫৫৩৯)

পবিত্রতা অর্জন ও রুকইয়াহ

গ্রুপে কাজ করতে যেয়ে নানা ধরনের অভিজ্ঞতা হয়েছে। তার মধ্যে একটি হল, অনেকেই আছেন যারা পবিত্রতা অর্জন নিয়ে অবহেলা করেন। বিশেষ করে যারা জ্বিনের দ্বারা সমস্যা আক্রান্ত। আবার কেউ কেউ আছেন পবিত্রতা অর্জন নিয়ে বাড়াবাড়িতে আক্রান্ত। মানে অযু করতে গিয়েছেন, অযু করা আর শেষ হয় না। এটা অন্য প্রসঙ্গ।

পবিত্রতা নিয়ে অবহেলা করলে রুকইয়াহ করলে যথাযথ ফলাফল পাওয়া যায় না। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র, তিনি পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালবাসেন। এখন প্রশ্ন হল, কি কি বিষয় পবিত্রতা অর্জনের মধ্যে পড়ে, কিভাবে পবিত্রতা অর্জন করতে হয়। তাহারাত বা পবিত্রতা দুই ধরনেরঃ শারিরিক ও আত্মিক। শারিরিক পবিত্রতার বিষয়ে কিছু লিখি আজ।

📌 মুহাম্মদ ইব্‌ন আব্দুল্লাহ্‌ ইব্‌ন ইয়াযীদ (রঃ)---- আবূ হুরায়রা (রাঃ) বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ পাঁচটি বিষয় মানুষের ফিতরাতের অন্তর্ভুক্ত। খাতনা করা, নাভীর নিম্নাংশের লোম চেঁছে ফেলা, বগলের পশন উপড়ে ফেলা, নখ কাটা এবং গোঁফ ছাঁটা ।

অভিযোগ সিরিজ (নামায কালামের কথা বলি না)

এই ব্যাপারে আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে সেটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তবে একেবারেই বলি না বা বলা হয় না এটা সত্য না। গ্রুপে যারা সময় দেন, যার গ্রুপের পোস্টগুলো দেখেন তাদের এমন কমেন্ট চোখে পড়ার কথা। নামায ও কুরআন তেলাওয়াতের কথা জিজ্ঞেস করি বা করতে বলি। ১০০ জনের মধ্যে ১০০ জন না হলেও ২০ জনকে অন্তত বলা হয়।

রুকইয়াহ এবং দাওয়াহ্‌ দুটো ভিন্ন টপিক হলেও রুকইয়াহর সাথে দ্বীনের দিকে ডাকা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যে কেউ আমাদের কাছে তার সমস্যা নিয়ে আসুক, তাকে দাওয়াহ দেয়ার একটা সুবর্ণ সুযোগ। সে রুকইয়াহ করুক বা না করুক দাওয়াহ পেয়ে সে যদি আল্লাহর সাথে সম্পর্ক তৈরি করতে পারে সেটাই তার মুক্তির জন্য যথেষ্ঠ হবে ইনশাআল্লাহ।

তাহলে প্রশ্ন করতে পারেন, ১০০ জনের মধ্যে ১০০ জনকে দাওয়াহ্‌ দিতে অসুবিধা কোথায়?

অভিযোগ সিরিজ (সবই রুকইয়াহ হলে ডাক্তারের কি দরকার?)

কথা শুনে মনেহয় আমরা ডাক্তারের ভাত মেরে দিচ্ছি! হা হা!

আদতে কিন্তু মোটেও তা নয়। ডাক্তারি চিকিৎসা ডাক্তারি চিকিৎসার জায়গায়, রুকইয়াহ রুকইয়াহর জায়গায়। কেউ হাত কেটে গেলে, হাত পা ভেঙ্গে গেলে, অসুখ হলে তো অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যাবেন। কেউ তো নিষেধ করেনি। বরং আমরা প্রায়ই জিজ্ঞেস করি ডাক্তার দেখিয়েছেন কিনা, ডাক্তার কি বলেছে?

সবই যেমন রুকইয়াহ কেস না, তেমনি সবকিছুই ডাক্তারী কেসও না। মেয়েদের পিরিয়ডিক প্রবলেম নিয়ে যাদের সাথে কথা বলার সুযোগ হয়েছে তাদের কাছে একটা কমন কথা শুনেছি। ডাক্তার বলেছে, "বিয়ে হলে ঠিক হয়ে যাবে।" বালেগ হবার পর থেকে বিয়ে হতে ৮-১০ বছর বা তারও বেশি সময় লাগতে পারে। ঔষুধ খেতে থাকবে আর বিয়ের অপেক্ষা করবে? এই সমাধান চিকিৎসা বিজ্ঞানে?

কিন্তু রুকইয়াহর ক্ষেত্রে এই সীমাবদ্ধতা নেই। যেমন, হাত কেটে গেল, ডাক্তার সেলাই দিল, ব্যথা করে। ব্যথার রুকইয়াহ করেন। সাধারন অসুস্থতার রুকইয়াহ করেন। অসুবিধারতো কিছু নেই। রুকইয়াহর কোন সাইড ইফেক্ট নেই, কোন ক্ষতিও নেই।

কিছু কবীরা গোনাহের লিস্ট

[এটা আমার লেখা নয়। নাসিসাহ গ্রুপ থেকে নেয়া] 

গুনাহ দুই প্রকার। এক, সগীরা (ছোট গুনাহ) দুই. কবীরা (বড় গুনাহ)। যে গুনাহ সম্পর্কে কুরআন বা হাদীসে শাস্তির বিধান রয়েছে অথবা কঠিনভাবে নিষেধ করা হয়েছে তাকে কবীরা গুনাহ বলে। কোনো কোনো কবিরা গুনাহ অন্য কবিরা গুনাহ থেকে বড়। যেমন কুফরি করা, শিরক করা সবচেয়ে বড় গুনাহ।

নিম্নে কিছু কবিরাগুনাহ কুরআন ও হাদীস থেকে বর্ণনা করা হলো।
ব্যাপক প্রচলিত কয়েকটি কবীরা গুনাহঃ
.
১. আল্লাহ পাকের যে কোনো প্রকারের শিরক করা। অর্থাৎ তাঁর মহান সত্তা ও গুনাবলীর সাথে কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে শরীক করা। [সূরা নিসা:১১৬, কিতাবুল কাবাইর,:১৪]

২. প্রিয় নবী সা.-কে আলিমুল গায়েব বা হাজির নাজির মনে করা। (উল্লেখ্য যে, আলেমুল গায়েব বলা হয়- যিনি পূর্ব অবগতি বা কারো জানানো ব্যতীত নিজে নিজেই প্রকাশ্য গোপনীয়-সবকিছুর খবর জানেন। আর হাজির নাজির ঐ সত্তাকে বলে যার উপস্থিতি বিশেষ কোনো স্থানে সীমাবদ্ধ নয়; বরং একই সময়ে গোটা বিশ্বে সবখানে বিরাজমান এবং একই সাথে বিশ্ব জগতের প্রতিটি বস্তুকে সমানভাবে দেখেন। সহজ কথায, যিনি সর্বদা সবকিছু দেখেন তিনিই হলেন হাজির নাজির।) [সূরা নামল:৬৫, সূরা আনআম:৫০,৫৯, সূরা কাসাস:৪৪, সূরা তওবা:১১৯]

অভিযোগ সিরিজ (মেয়েদের প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরন করি)

"শুধু মেয়েদের পোস্টেই সমাধান দেয়া হয়, ছেলেদের পোস্ট দেখা যায় না"

এটাকে অভিযোগ বলা যায় না। এটা একধরনের অপবাদ, নোংরা অপবাদ। আমরা যে সব জায়গায় "যৌনতা" খুজে পাই তার একটা পারফেক্ট উদাহরণ।


গ্রুপে মেয়েদের পোস্ট বেশি এপ্রুভ হয় - কথা সত্য। কারন বেশিরভাগ পোস্ট মেয়েরাই দেয়। ছেলেদের পোস্ট এপ্রুভ হয় না, কারনে ছেলেদের পোস্টই কম। সিরিয়ালে যখন যেটা আসে, সেটাই এপ্রুভ হয়। তো ছেলেদের পোস্ট বাড়াতে কি করতে হবে? এডমিনরা ফেইক আইডি খুলে বানিয়ে বানিয়ে পোস্ট দিবে গ্রুপে? নাকি দুআ' করবে বেশি করে যেন বেশি বেশি ছেলে প্যারানরমাল সমস্যায় আক্রান্ত হয়?

এখন প্রশ্ন হতে পারে, মেয়েরা কেন এই ধরনের সমস্যা বেশি আক্রান্ত হয়? অনেক কারন হতে পারে। কয়েকটা লিখিঃ

১। মেয়েরা প্রকৃতিগতভাবে দুর্বল, ভীতু। কোন ছায়া দেখলে একটা মেয়ে যতটা ভয় পাবে, একটা ছেলে অত ভয় পায় না। বা পেলেও সামলে উঠতে পারে যেটা মেয়েরা খুব কমই পারে। (এটা একটা কমন কথা)

অভিযোগ সিরিজ (ব্যবসা করি)

"প্রায় দেড় লাখ মেম্বার গ্রুপে। হাজার হাজার রোগী। না জানি কত টাকা এডমিনরা কামাই করে! প্রকাশ্য না চাইলে কি হবে, গোপনে তো শিউর চায়। ইনবক্সের খবর কি আমরা জানি? আইডি কোনদিন হ্যাক হলে দেখবেন কুকীর্তি সব ফাস হবে। ধর্মটারে এরা ব্যবসা বানায় ফেলছে, নির্ঘাত ধর্ম ব্যবসায়ী"

এই ধরনের চিন্তা করার লোকের গ্রুপে হয়ত অভাবই নাই। মানুষ দেখে কম, শুনে বেশি, বলে আরও বেশি। মুখের এবং চিন্তা-ভাবনার যেহেতু লাইসেন্স লাগে না সেহেতু যা খুশি বলতে/ভাবতে কোন দ্বিধা থাকার কথা নয়।

প্রমাণ দেন ভাই, প্রমাণ দেন। কারও কাছ থেকে কোন টাকা পয়সা চেয়েছি এমন প্রমাণ দেন। কারও থেকে নিয়েছি এমন প্রমাণ থাকলেও দেন। বরং আমি প্রমাণ দিতে পারব অফার করার পরেও টাকা নেয়া হয় নি। কারন টাকা আদান-প্রদানের সিস্টেমেই আমাদের নেই।

আমি দৃঢ় কন্ঠে বলতে পারি আমরা কোন ব্যবসা করি না। ইনবক্সে পরামর্শ দেয়া নিষেধ আমাদের জন্য। কাজেই উপরে ফিটফাট ভিতরের সদরঘাট টাইপ কোন অপবাদ যদি আমাদের কেউ দেয় সেটা তার উপরই বর্তাবে। আমরা এসব থেকে পবিত্র।

আলহামদুলিল্লাহ!

তাবিজের রূপ

- দেয়ালে এটা কি লাগাইছেন?
-হজুর আয়াতুল কুরসী। সুন্দর না?
-জ্বি সুন্দর । তা আয়াতুল কুরসী দিনে কতবার পড়েন?
- হুজুর শরমের কথা আর কি বলব? একবারও পড়ি না/ আরবী পড়তে পারি না।
- আচ্ছা কোনদিন কি ভেবেছেন যে, কুরআন নাযিল হয়েছে কিজন্য? পড়ে আমল করার জন্য নাকি এভাবে সুন্দর করে সাজিয়ে দেয়ালে ঝুলানোর জন্য? 
-এটা কি শুনাইলেন হুজুর? আমরাতো এত কিছু বুঝি না। অমুক হুজুরের বাসায় দেখলাম। ভাল লাগল তাই আমিও লাগাইলাম।
-- দেশটারে অর্ধেক নষ্ট করছেন আপনারা আর অর্ধেক নষ্ট করছে হুজুরগুলা...

অভিযোগ সিরিজ (কবিরাজি করি)

অভিযোগ বলি বা ধারনা বলি, আমার মতে এটাই সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার! যে উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করি সেটাই ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া। দারোয়ানের কাজ পাহাড়া দেয়া। সেই দারোয়ানকেই চোর মনে করা, চুরির দায়ে অভিযুক্ত করা!

রুকইয়াহ সম্পর্কে যার ন্যূণতম জ্ঞান আছে, সে অন্তত এই ধারণা করবে না। সাধারন মানুষ কবিরাজের কাছে যায়, কিছু টাকা দেয় বা না দেয়; কবিরাজ বলে হয়ে যাবে। কিন্তু কিভাবে হবে সেটা আর বলে না। ভয়ে তাকে জিজ্ঞেসও করা যায় না। এত্তবড় কবিরাজ/হুজুর। জিজ্ঞেস করলে যদি আবার আমার কোন ক্ষতি হয়! ইমাম সাহেব উনি, উনি খতিব, উনি মুফতি সাহেব! উনি কি আর ভুল কিছু করবেন?

কাজেই আমরা যখন "বদনজর, জ্বিন, যাদুর" ব্যাপারে কথা বলতে যাই তখন স্বাভাবিক ইম্প্রেশনে মানুষ কবিরাজ/হুজুরই মনে করে। কারন তারা ভাবে কবিরাজ/হুজুররা কুরআন দিয়েই চিকিৎসা করে। আমরাও সে কথাই বলি। কেউ খতিয়ে দেখার কথা ভাবে না যে, তলে তলে কি হচ্ছে। 
এই কারনে কুফরী করা, শিরক করা, ভণ্ড কবিরাজ/হুজুর চেনা জরুরী।

অভিযোগ সিরিজ (ভূমিকা)

সেপ্টেম্বর মাস। প্রায় এক বছর ঘনিয়ে এল। গত বছরের সেপ্টেম্বরেই Ruqyah Support BD গ্রুপের সাথে যুক্ত হই। এই এক বছরে অনেক চড়াই উৎরাই পেড়োতে হয়েছে। অনেক কিছু শিখেছি, আবার অনেক কিছু শেখার বাকি। মানুষের অভিযোগও কম নয়।

আমি জানি না আমার লিস্টের কতজন রুকইয়াহ সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞানটুকু রাখেন। তবে ধারনা করি ১০ শতাংশের বেশি হবে না তাদের সংখ্যা। তবে অভিযোগ করতে/সমালোচনা করতে জ্ঞান থাকা লাগে না। করলেই হল। কাজেই ভেবে দেখলাম অভিযোগের চারাগাছ বটগাছে রূপান্তরতি হবার আগেই কিছু কথা বলা যাক।

ও হ্যা, জবাব দেয়ার আগে অভিযোগগুলোর লিস্ট করা যাক। আমার যেগুলো মাথায় এসেছে সেগুলো লিখলাম। আপনাদের আরও কিছু থাকলে সেগুলো কমেন্ট করেন। ইনশাআল্লাহ আলোচনা করা হবে।

এই আলোচনা আমার নিজস্ব আলোচনা। গ্রুপের অন্য কারও সাথে এর সম্পর্ক নেই/দায় নেই। আমি ভুল কিছু বলে থাকলে সব দায় আমার। আল্লাহ আমাকে ইনসাফের সাথে বলার তৌফিক আমাকে দান করুন। সঠিক কথা বলার তৌফিক দান করুন। আমীন।

অভিযোগ গুলোঃ

হারানো জিনিস (বরং তার চেয়ে ভাল জিনিস) ফিরে পাবার দোয়া

Umm Salama, the wife of the Apostle of Allah (Peace be upon him), reported Allah's Messenger (Peace be upon him) as saying: If any servant (of Allah) who suffers a calamity says:"

إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ اللَّهُمَّ أْجُرْنِي فِي مُصِيبَتِي وَأَخْلِفْ لِي خَيْرًا مِنْهَا إِلاَّ أَجَرَهُ اللَّهُ فِي مُصِيبَتِهِ وَأَخْلَفَ لَهُ خَيْرًا مِنْهَا
 ‏
We belong to Allah and to Him shall we return;
O Allah, reward me for my affliction and give me something better than it in exchange for it," ' Allah will give him reward for affliction, and would give him something better than it in exchange. She (Umm Salama) said: When Abu Salama died. I uttered (these very words) as I was commanded (to do) by the Messenger of Allah (Peace be upon him). So Allah gave me better in exchange than him. i. e. (I was taken as the wife of) the Messenger of Allah (Peace be upon him).
source: https://muflihun.com/muslim/4/2000

ইস্তেগফারঃ রুজী, বিয়ে, নিঃসন্তান, ডিপ্রেসনের সমাধান!

  • আপনি কি রিজিক নিয়ে পরিশ্রান্ত? চাকুরী, ব্যবসা নিয়ে চিন্তিত?
  • বহু চেষ্টা করেও কি আপনার বিবাহ হচ্ছে না?
  • বাবু নিতে চান কিন্তু বাবু হচ্ছে না?
  • আপনি কি হতাশা, পেরেশানী, একাকিত্ব ভুগছেন?

মানবজীবনের এই গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো শুধু মাত্র একটি আমল করেই যদি উপকার পেতে চান তাহলে বলব ইস্তেগফারকে ভালবাসুন।

আল্লাহ তা'য়ালার বানীঃ তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর। তিনি তো মহাক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের জন্য প্রচুর বৃষ্টিপাত করবেন, তিনি তোমাদের সমৃদ্ধ করবেন ধন সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে এবন তোমাদের জন্য স্থাপন করবেন উদ্যান ও প্রবাহিত করবেন নদী-নালা। [সূরা নূহ, আয়াত ১০ থেকে ১২]

<>একবার হাসান বসরী রাহ. এর কাছে এক ব্যক্তি জানালো “ আমার ফসলে খরা লেগেছে। আমাকে আমল দিন” হাসান বসরী তাকে বললেন এস্তেগফার করো। কিছুক্ষণ পর আরেক ব্যক্তি এসে অভিযোগ পেশ করল “আমি গরীব। আমাকে রিজক এর আমল দিন” হাসান রহ. তাকেও বলেলন এস্তেগফার করো। এমনিভাবে অপর এক ব্যক্তি এসে সন্তান হও্য়ার আমল চাইলে তিনি বললেন, এস্তেগফার করো।” উপস্থিত ছাত্ররা জিজ্ঞেস করল, “সবাইকে এক পরামর্শই দিলেন যে?” বিখ্যাত তাবেয়ী হাসান বসরী রহ. বললেন “আমি নিজের পক্ষ থেকে কিছুই বলি নি। এটা বরং আল্লাহ তায়ালা তার কুরআনে শিখিয়েছেন । তারপর তিনি সুরা নুহ এর আয়াতটি তেলাওয়াত করলেন। (তাফসীরে কুরতুবী ১৮/৩০৩)

স্ত্রী বশের হালাল যাদু

[ডিসক্লেইমারঃ চেষ্টা করব রেফারেন্স সহ লেখার জন্য। কোন কথা যদি শরিয়তের বাইরে যায় তাহলে সে ত্রুটি আমার এবং সংশোধনযোগ্য। এই লেখা যদি কেউ মনে করে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতালদ্ধ মানে স্টেজগুলো আমি পার করে এসেছি তাহলে ভুল হবে। বিষ খেলে যে শরীরের ক্ষতি হয় সেটা জানার জন্য বিষ খাওয়ার দরকার নেই।]

লেখার শিরোনাম কতটুকু যৌক্তিক হল সে প্রশ্ন আসলে থেকেই যায়। কারণ সাধারণত আমাদের দেশে স্ত্রীদের বশ করতে হয় না। তারা এমনিতেই বশ থাকে। স্বামীকে ছাড়া থাকতে চায় না। দুই একটা ব্যতিক্রম সব কিছুতেই আছে।

হাদিসে এসেছে, ঐ ব্যক্তিই উত্তম যে তার স্ত্রীর নিকট উত্তম। [মিশকাত, ৬ খণ্ড, হাদিস -৩১১৪] এই হাদিস অনুযায়ী যদি আমরা পরীক্ষা করি তাহলে কত জন পুরুষ যে পাশ করবে বলা মুশকিল। তবে আমার ধারনা সিংহভাগই ফেল করবে। কি হতে পারে এর কারণ?

১। অনেক পুরুষ আছে যারা স্ত্রীদের আসলে মানুষই মনে করে না। ঘরের আসবাব যা শোভা বর্ধন করে এবং কালের পরিক্রমায় পুরাতন হয়ে যায়-এমনটা মনে করে। আর পুরাতন আসবাবপত্র আমরা কি করি? অবহেলায় ফেলে রাখি বা পরিবর্তন করে ফেলি। তারাও স্ত্রীদের এমনটাই মনে করে।

চক্ষুরোগ

হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, একবার রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়াসাল্লামের কতিপয় সাহাবী রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলিলেন, কামআত (ব্যাঙের ছাতা) হইল যমীনের বসন্ত। তখন রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (তাহাদের ধারনা পাল্টাইয়া) বলিলেনঃ ব্যাঙের ছাতা তো মান্ন সদৃশ। ইহার পানি চক্ষু রোগের ঔষধবিশেষ। আর আজওয়া (নামীয় খেজুর) বেহেশতী ফল। উহা বিষনাশক। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আমি তিনটি অথবা পাচটি অথবা সাতটি ব্যাঙের ছাটা লইয়া ঊহার রস নিংড়াইয়া একটি শিশির মধ্যে রাখিলাম। অতঃপর আমার এক রাতকানা দাসীর চোখের মধ্যে সেই পানি সুরমার সাথে ব্যবহার করিলাম। ইহাতে এ আরোগ্য লাভ করিল। -তিরমিযি এবং তিনি বলিয়াছে, এই হাদিসটি হাসান।


ব্যাখ্যাঃ মান্ন হইল বনী ইসরাঈলগন শাস্তি ভোগকালে তীহ্‌ ময়দানে আল্লাহর হুকুমে যে খানা লাগ করিয়াছে তাহারই নাম। হযরত মূসা (আঃ)-এর দো'য়ায় তাহারা এই খানা পাইয়াছিল। ইহা রাত্রে কুয়শার মত অবতীর্ন হইয়া হালুয়ার আকারে বিভিন্ন স্থানে জমিয়া থাকিত, সকালে তাহারা উহা সংগ্রহ করিয়া খাইত। সাদা বর্ণের ব্যাঙের ছাতা খাদ্যবস্তু, কিন্ত কালো বর্ণেরটি অখাদ্য ও বিষাক্ত। মান্ন যেরূপ বিনা আয়াসে ও বিনা খরচে বনী ইসরাঈলের জন্য জুটিয়াছে, ব্যাঙের ছাতাও তদ্রুপ বিনা ব্যায়ে ও বিনা পরিশ্রমে পাওয়া যায়। এই জন্য উভয়ের মধ্যে সাদৃশ্য রহিয়াছে। ইহার রস চক্ষু রোগের জন্য বিশেষ উপকারী এবং ঔষধের কাজ করে।

(গবেষনা হতে পারে)

উৎসঃ মিশকাত। খণ্ড-৮, পৃষ্ঠা-২৭৯। এমদাদিয়া পুস্তিকালয় লিঃ।

জ্বিনেরা মানুষকে ভয় পায়

ইবনে আবু দুনিয়া মুজাহিদ থেকে বর্ণনা করেন, "একরাতে আমি নামায পড়ছিলাম। তখন যুবকের মত এক ব্যক্তি আমার সামনে চলে এল হুট করে। তখন আমি তাকে ধরতে গেলাম। কিন্তু সে লাফ দিয়ে দেয়ালের অন্যদিকে চলে গেল। এরপর আর কখনও সে আমার সামনে আসেনি"।

এরপর মুজাহিদ বলেন,"তারা আমাদের ততটাই ভয় পায়, যতটা আমরা তাদের ভয় পাই। কাজেই তোমরা কেউ যদি তাদের দেখতে পাও তাহলে বুঝতে দিও না যে ভয় পেয়েছো। তারা যদি বুঝতে পারে তুমি ভয় পেয়েছো তাহলে তোমাকে আক্রমণ করবে। এরচেয়ে তুমি তাকে আক্রমণ কর তাহলে দেখতে তারা পালিয়ে যাবে।"


(অনূদিতঃ Protect Yourself from from the Jinn And Shaytan)

বাচ্চার রুকইয়াহ


ফ্যামিলি নিয়ে শহরে গিয়েছিলাম। কিছুটা ঘুরাঘুরি, কিছুটা কেনা-কাটা উদ্দেশ্য ছিল। হাবি-জাবি খাওয়া হয়েছে প্রচুর। ফেরার সময় যার প্রতিক্রিয়া দেখা গেল।

বাচ্চার পেটে ব্যাথা। একবার মার কোলে যায়,একবার আমার কোলে আসে। আর ঘ্যানর, ঘ্যানর কান্নাতো আছেই। মনে পড়ল ব্যথার রুকইয়াতো আমার জানাই আছে।

বাচ্চাকে কোলে নিলাম। পেটে হাত দিলাম। তিনবার পড়লাম বিসমিল্লাহ! এরপর ৭ বার পড়লাম "আউ'যু বিইয্‌যাতিল্লাহি ওয়া কুদরতিহি মিন্‌ শার্‌রি মা আজিদু ওয়া উহাজিরু" ।


সূরা ইখলাস, ফালাক্ব, নাস পড়ে ফুঁও দিলাম।

বাচ্চা আমার কোল থেকে মার কোলে চলে গেল। এরপর হড়হড় করে বমি করে দিল। আমাদের কাপড় নষ্ট হল ঠিকই। কিন্তু বাচ্চার পেটের ব্যাথা ভাল হয়ে গেল।

সুবহানাল্লাহ!
আলহামদুলিল্লাহ!

হাটুর ব্যথা


শীতকাল আসলে দৌড়-ঝাপ বাড়ে। বিশেষ করে ব্যাডমিন্টন খেলার সময় হাটুতে চাপ পড়ে বেশি। ব্যাথা শুরু হয়। ডাক্তারের কাছে গেলে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট আর দুধ খেতে বলে ক্রমাগত।

এবছর যেন ব্যাথা আগেই শুরু হল। একটু জোড়ে হাটতে গেলে কষ্ট হয়। ট্যাবলেট খাই, আধসের গরর দুধ খাই। তেমন কোন ফায়দা বোঝা যায় না।

এরই মধ্যে ব্যাথার জন্য রুকইয়া পোস্টটা দেখলাম। উৎসাহ নিয়ে ভাবলাম এই চিকিৎসাতো আমি নিজেই করতে পারি।

মনস্থির করে হাটুতে হাত রেখে ৩ বার পড়লাম "বিসমিল্লাহ"। এরপর ৭ বার পড়লাম "আউ'যু বিইজ্জাতিল্লাহি ওয়া কুদরতিহি মিন শার্‌রি মা আজিদু ওয়া উহাযিরু" ।

নাহ! ব্যাথা কমে না। মেজাজ খারাপ হয়ে গেল।

Thursday, April 11, 2019

রুকইয়াহ vs কবিরাজি

অনেকের ধারনা রুকইয়াহ এবং কবিরাজি একই। গ্রুপ এডমিনদের প্রতিও ধারনা তারা কবিরাজি করেন। রুকইয়াহ সম্পর্কে যার ন্যূণতম জ্ঞান আছে, সে অন্তত এই ধারণা করবে না। সাধারন মানুষ কবিরাজের কাছে যায়, কিছু টাকা দেয় বা না দেয়; কবিরাজ বলে হয়ে যাবে। কিন্তু কিভাবে হবে সেটা আর বলে না। ভয়ে তাকে জিজ্ঞেসও করা যায় না। এত্তবড় কবিরাজ/হুজুর। জিজ্ঞেস করলে যদি আবার আমার কোন ক্ষতি হয়! ইমাম সাহেব উনি, উনি খতিব, উনি মুফতি সাহেব! উনি কি আর ভুল কিছু করবেন?
কাজেই আমরা যখন "বদনজর, জ্বিন, যাদুর" ব্যাপারে কথা বলতে যাই তখন স্বাভাবিক ইম্প্রেশনে মানুষ কবিরাজ/হুজুরই মনে করে। কারন তারা ভাবে কবিরাজ/হুজুররা কুরআন দিয়েই চিকিৎসা করে। আমরাও সে কথাই বলি। কেউ খতিয়ে দেখার কথা ভাবে না যে, তলে তলে কি হচ্ছে।
এই কারনে কুফরী করা, শিরক করা, ভণ্ড কবিরাজ/হুজুর চেনা জরুরী।
লন্ডনের এক বিখ্যাত রাক্বি (যিনি রুকইয়াহ করেন) কবিরাজ/হুজুর চেনার কিছু উপায় বলেছিলেন। আপনাদের জন্য সেখান থেকে তুলে দেয়া হলঃ

রুকইয়াহ কি এবং কেন?

রুকইয়াহ কি?

- এককথায় রুকইয়াহ হল ঝাড়ফুঁক। ঝাড়ফুক দুই ধরনের হতে পারে।

১। শিরকি রুকইয়াহ
২। শরঈ রুকইয়াহ

শিরকি বা কুফরী রুকইয়াহ বলতে সেসমস্ত রুকইয়াহ বা ঝাড়ফুককে বলা হয় যা শরীয়তে অনুমোদিত নয়। যেমনঃ

১। আল্লাহর কাছে সাহায্য না চেয়ে অন্য কারও/কিছুর সাহায্য চাওয়া।
২। জ্বিনের মাধ্যমে কোন কাজ করা
৩। অবৈধ কোন কাজের মাধ্যমে রুকইয়াহ করা। যেমনঃ জ্বিন, তারকা ইত্যাদির উদ্দেশ্যে পশু জবেহ দেয়া, মেয়েদের গায়ে হাত দেয়া ইত্যাদি।



প্রচলিত শরীয়ত বহির্ভূত রুকইয়াহ সম্পর্কে এখানে জানতে পারবেন। এই লেখায় সংক্ষেপে ৩ টি পয়েন্ট উল্লেখ্য করা হল।